Press "Enter" to skip to content

এক সময়কার ভুবনডাঙার মেলা হয়ে গেল পৌষ মেলা…..।

Spread the love

পৌষ মেলায় উৎসবমুখর শান্তিনিকেতন

বাবলু ভট্টাচার্য : শান্তিনিকেতন মেতে উঠল পৌষ মেলায়। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের পৌষের এই দিনেই শান্তিনকেতনে শুরু হয়েছিল মেলা।

জানা যায়, ১২৫০ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের কাছে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। সেই দিনটিকে কেন্দ্র করেই উৎসব ও মেলা।

এক সময়ে এ মেলার নাম ছিল ভুবনডাঙার মেলা। এখন শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা নামে এক ডাকে চেনে গোটা বিশ্ব। পরে মেলা উঠে আসে পূর্বপল্লির মাঠে। এখন অবশ্য আর কোনও গণ্ডি নেই। পৌষ মেলা চলে গোটা শান্তিনিকেতন জুড়েই। ছড়িয়ে যায় খোয়াইয়ের পারেও।

ব্রহ্মোপাসনার মাধ্যেমে মেলার সূচনা হয়ে প্রতিটি দিন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে পৌষের মেলা। একতারার সুরে তাল দেয় পিঠে পুলির গন্ধ।

এ মেলার বড় বিশেষত্ব হস্তশিল্প ও গ্রামীণ কৃষ্টির উপস্থিতি। সেই সঙ্গে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেল। মাটির পুতুল, ডোকরা, বাঁশি, ডুগডুগি, চর্মশিল্প, একতারা— কী নেই সেখানে! সেই সঙ্গে ভুরিভোজের বিপুল আয়োজন।

রীতি মেনে বৈতালিকের গান, সানাইয়ের সুর, ছাতিমতলায় উপাসনা- এসব তো আছেই, সেই সঙ্গে সাংস্কৃতিক মঞ্চে রায়বেশে, মুখোশনৃত্য, আলকাপ, রণপানৃত্য, ছৌ নাচও হয়। আর বাউল-ফকিরের গান তো থাকেই। সকালে আম্রকুঞ্জে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন আর সন্ধ্যায় উপাসনা মন্দিরে খ্রিস্ট-উৎসব।

শীতকে উপেক্ষা করে ভিড় বাড়ে মেলাপ্রেমীদের। শান্তিনিকেতন, বোলপুর, শ্রীনিকেতন, প্রান্তিক সবই পর্যটকদের দখলে চলে যায়।

পৌষ তাঁদের ডাক দিয়েছে যে!

More from CultureMore posts in Culture »
More from GeneralMore posts in General »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.