গোপাল দেবনাথ/সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়:কলকাতা, ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাসে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১৯২৭সালে ২০ তারিখ কলকাতার পৌরসংস্থার তৎকালীন মহানাগরিক যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ১৫০ শয্যার তিনতলা হাসপাতালের নতুন নামকরণ করেন চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল।
১৯০৭ সালে ডা, সুবোধ কুমার মল্লিক বউবাজার স্ট্রীটে যে রয়াল কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জেন্স প্রতিষ্ঠা করেন তাই ১৯১১ সালে মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র নন্দীর দান করা আপার সার্কুলার রোডের জমিতে ৩০ শয্যার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ অফ ইন্ডিয়া গড়ে ওঠে।বিবর্তনের হাত ধরে এই হাসপাতাল ১৯৬৪ সালে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ রাখা হয়। ১৯৭৬ সালে রাজ্য সরকার এই হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে।
গত শনিবার কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পালিত হলো ৬৯তম রিউনিয়ন নস্টালজিয়া-২০২০। সাংবাদিকেরা আমন্ত্রিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে । উদ্যোক্তাদের পক্ষে জানানো হয়, এই বিনোদন মূলক মিলন মেলা শুধুমাত্র আনন্দ ও অনুষ্ঠান করার জন্য নয়,পারস্পরিক ঐকান্তিক মানসিক আদানপ্রদানের ও অনুষ্ঠান।
প্রাক্তন ছাত্রদের আলিমনি সংগঠনের সভাপতি ডা,শান্তনু ভক্ত জানান, গান্ধীজির অহিংস আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত এই প্রতিষ্ঠানের একটা ঐতিহাসিক যোগসূত্র আছে। স্বাধীনতার পর রাজ্য সরকার হাসপাতাল অধিগ্রহণ করার পর প্রাক্তন ছাত্রদের এক সংগঠনের গড়ে ওঠে। এই বছর ৬৯তম বর্ষ।
আমাদের এই সমিতি প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রদের নিয়ে গড়ে উঠেছে। প্রাক্তনদের অনেকেই বিদেশে।জীবিকার টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমরা ছড়িয়ে থাকলেও এই মিলন মেলায় মিলিত হই।আমরা আনন্দিত ও গর্বিত এবার আমাদের ন্যাশনাল মেডিক্যালের ছাত্র ডাঃ অরুণোদয় মন্ডল পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
এর আগেও অনেক পদ্মশ্রী পেয়ে আমাদের ঐতিহ্য বাড়িয়েছেন। জীবনের চলার পথে এই মিলন উৎসব আমাদের মানসিক নিবিড় বন্ধন গড়ে তুলতে প্রেরণা যোগায়। এই প্রাক্তনীরা সারা বাংলা জুড়ে নানা রকম সেবা মূলক কাজে ব্রতী থাকে। বিশেষ ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, বিভিন্ন রোগ সম্বন্ধে সচেতন করা সহ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে মানুষের সেবা এই সবই প্রাক্তনীরা করে থাকে।
প্রতি নিয়ত এই হাসপাতালের নিকটবর্তী অঞ্চলের মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে যথাযথ পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। উপস্থিত সবাইকে অভিনন্দন জানান ,কলেজের প্রাক্তনী এবং সংগঠনের কর্মকর্তা ডাঃ অর্ণব গুপ্ত, ডা,দুলাল দলুই, ডা,শঙ্কর সেনগুপ্ত, ডাঃ লীনা বন্দোপাধ্যায় ও শান্তনু ভক্ত।
Be First to Comment