Press "Enter" to skip to content

শিশির কুমার ভাদুরী বাংলা রঙ্গমঞ্চের এক কিংবদন্তিতুল্য ব্যক্তিত্ব….।

Last updated on October 3, 2022

Spread the love

জন্মদিনে স্মরণঃ না ট্যা চা র্য শি শি র কু মা র ভা দু ড়ী

বাবলু ভট্টাচার্য : শিশির কুমার বাংলা রঙ্গমঞ্চের এক কিংবদন্তিতুল্য ব্যক্তিত্ব। নাট্যমঞ্চে তিনি ছিলেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাঁর অভিনয় বহু শিক্ষিত যুবককে পেশাদার নাট্যাভিনয়ে যোগদানে উৎসাহ জুগিয়েছে।

শিশির ভাদুড়ী ১৯১৩ সালে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাশ করে মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট ও বিদ্যাসাগর কলেজে অধ্যাপনা করেন।

১৯২১ সালে পেশাদার অভিনেতারূপে তিনি ম্যাডান থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১০ ডিসেম্বর ‘আলমগীর’ নাটকে নাম-ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কিন্তু ম্যাডান থিয়েটারের সঙ্গে মতানৈক্য ঘটায় মঞ্চ ছেড়ে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।

রঙ্গমঞ্চে শিশির কুমারের প্রত্যাবর্তন ঘটে ১৯২৩ সালে। এ সময় তিনি একটি নাট্যদল গঠন করেন এবং ২৫ ডিসেম্বর ইডেন গার্ডেন্স-ক্যালকাটা এক্সিবিশনে মঞ্চায়িত ডি এল রায়ের ‘সীতা’ নাটকে রামচন্দ্রের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয়-প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।

মঞ্চে একাধিক নাটকে অভিনয় করে শিশিরকুমার যশস্বী হন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো : রঘুপতি ও জয়সিংহ (বিসর্জন), যোগেশ (প্রফুল্ল), জীবনানন্দ (ষোড়শী), নাদির শাহ (দিগ্বিজয়ী), নিমচাঁদ (সধবার একাদশী) এবং চন্দ্রবাবু (চিরকুমার সভা) উল্লেখযোগ্য।

১৯৩০ সালে তিনি ‘তপতী’ নাটকে বিশেষ অভিনয় পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেন। আর্থিক অনটনের দরুণ এ বছরই তিনি স্বীয় মঞ্চ নাট্যমন্দির ছেড়ে স্টার থিয়েটারে যোগ দেন। তিনি অনেক সবাক ও নির্বাক চলচ্চিত্রে সফল অভিনয় করেন।

১৯৩০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিশিরকুমার নিজস্ব নাট্যগোষ্ঠী নিয়ে আমেরিকা যান। তিনি নিউইয়র্কের ভ্যান্ডারবিল্ট থিয়েটারে ‘সীতা’ মঞ্চায়নের মাধ্যমে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ১৯৪২ সালে ‘শ্রীরঙ্গম’ নামে একটি রঙ্গমঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে বিশ্বরূপা থিয়েটার নামে পরিচিত।

শ্রীরঙ্গমে মঞ্চস্থ বিভিন্ন নাটকের মধ্যে ‘মাইকেল’ নাটকের নাম-ভূমিকায় তাঁর অভিনয় সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এখানে তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা হলো : ‘বিপ্রদাস’, ‘তখৎ-এ-তাউস’, ‘বিন্দুর ছেলে’ ও ‘দুঃখীর ইমান’।

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করতে চাইলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন; বরং তাঁর আকাঙ্খা ছিল একটি জাতীয় নাট্যশালা প্রতিষ্ঠা করা এবং এতেই তিনি খুশি হতেন।

১৯৫৯ সালের ৩০ জুন নিজ বাসভবনে নাট্যাচার্য শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শিশির ভাদুড়ী ১৮৮৯ সালের আজকের দিনে (২ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার রামরাজাতলায় জন্মগ্রহণ করেন।

More from CinemaMore posts in Cinema »
More from CultureMore posts in Culture »
More from EntertainmentMore posts in Entertainment »
More from InternationalMore posts in International »
More from Theater/DramaMore posts in Theater/Drama »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.