Press "Enter" to skip to content

অ্যাসেনসিভ এডুকেয়ার বাংলায় এনেছে নিজের রোজগারে কর্ম দক্ষতার শিক্ষার সুযোগ….।

Spread the love

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : কলকাতা, ২৫ মে ২০২২। পশ্চিমবঙ্গের জন্য সুখবর এনে দিয়েছে ইন্ডিয়া স্কিল রিপোর্ট। সমীক্ষা বলছে সারা ভারতে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানে চতুর্থ স্থানের যোগ্যতা অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গ। হুইল ন্যাশনাল এমপ্লয়বিলিটি টেস্টে রাজ্য ৬৩.৮ স্কোর অর্জন করেছে। ইংরেজিতে দক্ষতা, নিউম্য়ারিক্যাল রিজনিং, কম্পিউটার স্কুল সহ একাধিক বিষয়ের জন্য ১০ রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ হয়েছে। সমীক্ষায় কলকাতা শুধু ভালো ফল করেছে তাই নয়, এর আগেও একাধিক বিষয়ে বাংলা সামনের সারিতে। বেশ কয়েকবছর আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বসমক্ষে এক জনসভায়স্বীকার করে বলেছিলেন,
রাজ্যে এখন প্রায় ১ কোটি বেকার। সুতরাং সীমিত সরকারি চাকরির বাইরে বেসরকারি সংস্থায় চাকরির খোঁজ করা দরকার। ভারতীয় অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, দেশে বেকারত্বের বৃদ্ধির অনেকগুলি কারণের অন্যতম কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অভাব এবং শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতা অভাব। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাব।

এই মুহূর্তে তাই আশার বাণী শোনাচ্ছেন কলকাতার অ্যাসেনসিভ এডুকেয়ার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়্যারম্যান অভিজিৎ চ্যাটার্জি। আজ বুধবার দুপুরে কলকাতার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানালেন, ব্রিটিশ শাসক তাঁদের শাসন কায়েম রাখতে দেশীয় শহুরে মানুষকে কেরানি বানাবার শিক্ষাক্রম চালু করে। এরপর ইংরেজ দেশ ছেড়ে চলে গেছে, কিন্তু সেই অবৈজ্ঞানিক সেকেলে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে গেছে। দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নত হয়েছে। কিন্তু দেশের নতুন প্রজন্ম সেই প্রচলিত সিলেবাসের শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন। ব্যবহারিক শিক্ষায় বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। ফলে পেশাগত দক্ষতার অভাব চাকরির বাজার যেমন সংকুচিত হচ্ছে, তেমন স্বাধীন পেশায় সফল হচ্ছেন না। সিলেবাস শিক্ষা অবশ্যই দরকার। কিন্তু ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগ না পেলে শিক্ষা যেমন সম্পূর্ণ হয় না তেমন জীবিকার নিশ্চয়তাও মেলে না।

অভিজিৎবাবু আরও জানান, আমরা তাই আমাদের সংস্থার পক্ষে এ পি আই এম প্রকল্প এনেছি। অ্যাডভান্স প্রোগ্রাম ইন ম্যানেজমেন্ট। প্রচলিত শিক্ষা ও ব্যবহারিক শিক্ষার ফারাক দূর করতেই এই প্রকল্প। জীবিকার নিশ্চয়তা আনতে আমরা যোগ্যতা সাপেক্ষে প্রযুক্তিগত শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি । আমরা এই ব্যবহারিক শিক্ষা প্রকল্পে আর এন ঠাকুর ইউনিভার্সিটি ভূপালের ডিগ্রি ও ডিপ্লোমার সহযোগিতা নিচ্ছি। এই শিক্ষাক্রমের বড় আকর্ষণ শিক্ষাক্রমের খরচ শিক্ষার্থীরা যাতে নিজেরাই বহন করতে পারেন, তাই শিক্ষার পাশাপাশি ট্রেনি হিসেবে রোজগারের সুযোগ পাবেন। আমরা ট্রেনিং দেবো ক্লাসরুম শিক্ষা ও ভার্চুয়াল শিক্ষার মাধ্যমে। এছাড়াও সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক থেকেও ঋণের ব্যবস্থা করা হয়।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুপালের আর এন ঠাকুর ইউনিভার্সিটির পক্ষে সমর বিশ্বাস, গোদ্রেজ। গোদরেজ সংস্থার পখেরিনাল দেবনাথ সহ কয়েকজন। প্রতিবেদকের দুটি প্রশ্নের উত্তরে অভিজিৎ চ্যাটার্জি জানান, ২০১০ সালে তদানীন্তন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত প্রণব মুখার্জি প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে ব্যবহারিক শিক্ষার প্রকল্প নেন। সেই সময় দক্ষ কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২শতাংশ। পরে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের অধীনে বেশ কয়েকটি প্রকল্প ঘোষণা করেন।

অন্যতম প্রকল্প দক্ষ কর্মী নির্মাণ। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যাঁরা প্রচলিত শিক্ষার সাথে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা নিয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সায়নী চ্যাটার্জি উপস্থিত বিশেষ অতিথিদের পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করেন।

More from EducationMore posts in Education »
More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.