নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৪ মার্চ ২০২২। ১৯৭১সাল ওপার বাংলার স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। দলে দলে মানুষ মিলিটারির তারা খেয়ে রাতের অন্ধকারে কাঁটা তারের বর্ডার পেরিয়ে আমাদের দেশ ভারতবর্ষে পা রেখেছে। সর্বস্ব খুইয়ে তারা দিশে হারা, বিভ্রান্ত, সর্বস্বান্ত আরও চারটি পরিবার মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে কলকাতায় চলে আসে এই চারটি পরিবার দৈনন্দিন সুখ দুঃখদুর্দশার জীবন লিপি বর্ণিত হয়েছে ১০ নম্বর ঝোপড়পট্টি নামক এই সিনেমাটিতে।
ঝোপড়পট্টির এক অন্তঃসত্ত্বা বধূকে দুরাচারিদের শিকার হতে হয়েছে জলের কলসি হাতে পালাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে তার পেটের বাচ্চাটlই নষ্ট হয়ে গেছে। তার পর থেকে বধূটি সন্তান সুখে উন্মাদ, আর একটি মেয়ের আরো করুণ দশা গণধর্ষিত হয়ে তাকে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যেতে হয়েছে যুগের হাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। লেখিকা স্বাতী চট্টোপাধ্যায় তার লেখনীতে মেয়েদের উপর নৃশংস অত্যাচার শোষণ ধর্ষণ প্রতি সামাজিক অবক্ষয়ের এক ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরেছে গল্পটিতে বিচারক মা তার ধর্ষণ এক মাত্র পুত্রকে ও তার অভিন্ন হৃদয় দুই বন্ধুকে ফাসি কাঠে ঝুলিয়ে সমাজে সমস্ত নারীজাতি কে আহ্বান জানিয়ে বলতে চেয়েছেন যে মা হয়েও একমাত্র পুত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিতে তিনি একটুও কুণ্ঠাবোধ করেননি একটু হাত কাঁপেনি তার। তিনি সমস্ত নারীজাতিকে জেগে উঠতে বলেছেন, কারণ নারীরা যদি একবার জেগে ওঠে তবে তারাই পারবে এই সমাজ থেকে ধর্ষণ নামক কুৎসিত,
ঘৃণ্যতম অপরাধকে চির দিনের মত বিদায় জানাতে।
এস,সি প্রোডাকশনের ব্যানারে নিবেদিত স্বাতী চট্টোপাধ্যায় প্রযোজিত ছবিতে কুন্দন সাহার সুরারোপে গানগুলো গেয়েছেন স্বাতী চট্টোপাধ্যায়, লাবনী চক্রবতী এবং দেবজিত দত্ত। জিৎ চট্টোপাধ্যায় (পিন্টু) পরিচালনায় সৌমিত্র হালদার এর চিত্রগ্রহনে, স্বপন গুহর সম্পাদনায় এই ছবিতে অভিনয় করেছেন স্বাতীচট্টোপাধ্যায়, কন্যাশ্রী চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ,
তনিমা সেন , দিয়া মুখোপাধ্যায় ছন্দা চট্টোপাধ্যায়, মঞ্জুশ্রী গাঙ্গুলী গৌরীশংকর পান্ডা, ইন্দ্রানী মুখার্জি, রুপম সাহা দেবর্ষি ব্যানার্জি। কার্য নির্বাহী প্রযোজক রঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রচারে – লাইম লাইট।
Be First to Comment