বিশেষ প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১। এই পৃথিবীতে খুবই কম মানুষ আছেন যিনি ভূত বা পেত্নী তে ভয় পান না। ভূতের গল্প শুনতে ভালো লাগলেও ভূতের দর্শন কেউ আশা করা বলে আমার অন্ততঃ জানা নেই! ভূত আছে কি নেই এর কোনো প্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি। বাঙালিরা কি ভূত কে ভয় পায়!
এই প্রশ্ন নিয়েই বিতর্ক চলতেই থাকবে। এই গল্পটি একটি রহস্য রোমাঞ্চকর গল্প , গল্পের মূল চরিত্র, কিছু কলেজের বন্ধু বান্ধবী রাজ, রানী, বিজয়, প্রিয়া, অমিত, নয়না, বান্টি এরা একদিন প্ল্যান করে যে শহর থেকে দূরে কোনো নির্জন জায়গায় ঘুরতে যাবে, কলেজ ছেড়ে পেশাগত জীবনে ঢোকার আগে সবাই মিলে শেষ বারের মতো একত্রিত হয়, সেই উদ্দেশ্যেই সবাই সবার মা বাবার অনুমতি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো এক অজানা গন্তব্যে, শুরুতে তাদের যাত্রা বেশ আনন্দ উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে কাটলেও ,
দিনের শেষে তাদের সাথে হঠাৎ করে ঘটতে থাকে এমন কিছু অবিশ্বাস্য ঘটনা, যা তাদের যাত্রা পথে আনন্দটাকে অনেকটা ফিকে করে দেয়, চাঁদনী রাতে গাড়িটি জঙ্গলের পথে যেতে যেতে, বিজয় হঠাৎ করে লক্ষ্য করে, গাড়ির সামনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে রক্তাক্ত অবস্থায়, ঠিক যেন তাদের দিকে তাকিয়ে আছে, গাড়ীর ড্রাইভার প্রথমটা ঘাবড়ে যায় তারপর নিজেকে সামলে গাড়িটি কে ঘোরাতে গেলে, মেয়েটিকে আর দেখতে পায়না, সবার মধ্যে সাময়িক ভয়ের উদ্রেক হলেও পরক্ষনে স্বাভাবিক হয়,
গাড়ি স্টার্ট দিলে হঠাৎ আবার সামনে দেখে সেই মেয়েটিকে তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে, ড্রাইভারটি বেসামাল হয়ে ধাক্কা মারে একটি গাছে, সাময়িক আহত হয়ে সবাই গাড়ি থেকে নেমে যায়, বিজয় বুঝতে পারে কোনো অতৃপ্ত আত্মা তাদের পিছু করছে, মাঝরাতে একটা থাকার ব্যবস্থা হলেও সেখানে ঘটে বিপত্তি, এক রাতের মধ্যেই শুধুমাত্র রাজ ও রানি ছাড়া কেউই ওই আত্মার কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে না, শুধুমাত্র রাজ ও রানি কোনো ভাবে নিজেদের প্রান বাঁচিয়ে ফিরতে পারে, নিজেদের ঘরে, সবার মধ্যে নেমে আসে চূড়ান্ত শোকের ছায়া,
নতুন করে শুরু হয় রাজ ও রানীর জীবনের নতুন অধ্যায় এই ভাবেই এগিয়েছে হিমাংশু খাঁ র লেখা ছবির গল্প।
ধর্মরাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত নবাগত পরিচালক প্রসেন এর পরিচালনায় ছবিতে অভিনয় করেছেন সান্তনা বসু, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, নবাগত মুনমুন দাস, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, ডলি, সনাতন, সায়ন, কৌশিক, রাজকুমার, মনা এবং নাম ভূমিকায় ভাবনা। সংগীত পরিচালনা করেছেন নবারুণ দাশগুপ্ত, গীতিকার তন্ময় সরদার, চিত্রগ্রাহক অরিজিত চক্রবর্তী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক টুটুল ব্যানার্জী, সংগীত পরিচালক সত্যম, পরিচালক অমিতাভ সহ বিশিষ্টজন।
ছবির পোস্টার লঞ্চ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এদিন কেক কেটে সেলিব্রেশন ও করা হয়। ছবিটি আগামী ইংরেজি নববর্ষের শেষের দিকে পিশাচ মুক্তি পাবে বলে জানান পরিচালক প্রসেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আশারাখি পিশাচ সিনেমা দেখলে দর্শকদের শরীরে শিহরণ জাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
Be First to Comment