গাজী আব্দুন নূর : অভিনেতা, ঢাকা, বাংলাদেশ। ২১ ডিসেম্বর ২০২১। পকেটে পয়সা না থাকলেও চুরি করে থিয়েটার দেখার অভ্যাস তৈরি করে দিয়েছিল সহপাঠীরা। সপ্তাহের প্রতি রবিবার নিয়মিত সিনেমা দেখার অভ্যাস তৈরি করে দিয়েছিল কৌশিকদা (কৌশিক রায়)। এখনো সেই অভ্যাসে ভাটা পড়েনি… তাই কালকে দেখে নিলাম “মৃধা বনাম মৃধা” সিনেমাটি।
তবে এটা আমি কোন সিনেমার রিভিউ লিখছি না। তবে সিনেমার রিভিউ বিষয়টি আমার বেশ প্রিয় বলেই স্কলারশিপে (আই সি সি আর) ফাস্ট চয়েজ দিয়েছিলাম যাদবপুর ইউনিভার্সিটির ফিল্ম স্টাডিজ এ। থার্ড চয়েস ছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিওগ্রাফি এন্ড মাস কমিউনিকেশন।
নিজের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়কে থার্ড চয়েস ছিল বলেই অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার শেষ হওয়ার আগেই জানতে পেরেছিলাম আমি স্কলার্শিপ পেতে পারি রেজাল্ট ধরে রাখলে!
নিজের বিশ্ববিদ্যালয় থার্ড চয়েস দেওয়া হয়েছিল বলেই আমার শ্রদ্ধেয়রা মনে কষ্ট নিয়ে বলেছিলেন ”তুই আমাদের ছেড়ে চলে যাবি”!
– “তোমাদের ছেড়ে যেতে পারলাম কোথায়”!!
তখনো কিন্তু আমি ক্যামেরার সামনে আসেনি…
প্রসঙ্গে ফিরি…”মৃধা বনাম মৃধা”
সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট থেকে সংলাপ প্রক্ষেপণ, অভিনয়ে প্রত্যেকটি চরিত্র তারা তাদের নিজেদের মূল্যায়ন করেছেন। সিনেমাটির pre-production এ ভালো টিম ওয়ার্ক ছিল রীতিমতো বোঝা যায়। চোখে জল আনা মানেই ভালো সিনেমা আমি সেই টাইপ দর্শক নই।
“ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র” এই তিন শব্দে আমি বিশ্বাসী নই। “বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র” এই তিন শব্দেও বিশ্বাসী নই।
এই সিনেমাটির সঙ্গে আমি কোন ভাবেই জড়িত নই, সে কথাটিতে ও আমি বিশ্বাসী নই। এই টিমের কারও সঙ্গেই আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই, তবে স্বার্থ আছে, উপলব্ধি আছে…
আমার যে সন্তান বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করে, তাকে আমি তিনবেলা পেট ভরে বিরিয়ানি খেতে দেবো কি? আমার সেই সন্তান ভালো খাচ্ছে বলেই খাওয়াবো, কিছুদিন পর আমার সন্তান স্বাস্থ্যবান হবে কি ?
দর্শকদেরকে ও স্বাদের ভিন্নতা এবং স্বাস্থ্যবান করা উচিত নয় কি?
জাত গেল! জাত গেল ! সিনেমা গেল! সিনেমা গেল! বলে গলায় ফেনা তুলে গলায় সাহস তোলা যায় কি?
আপনার যে সন্তান খারাপ ছাত্র, বাইরের লোকের সামনে আপনি যদি আপনার সন্তানকে খারাপ ছাত্র বলে পরিচয় দেন, আপনার সেই সন্তান কোনদিনও ভালো ছাত্র হয়ে উঠতে পারবে কি?
ধুর!! অনেকগুলো প্রশ্ন বোধক চিহ্ন হল….. এবার দাড়ি টানি ।
“মৃধা বনাম মৃধা” টিমের সকলের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো।
দুই বাংলার সকল দর্শকের কাছে সিনেমাটি দেখার আমন্ত্রণ রইল। আশারাখি এই সিনেমাটি সকল দর্শকদের ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।

Be First to Comment