শুভ জন্মদিন ইয়ানী
বাবলু ভট্টাচার্য : সোটিরি ও ফেলিটসা ক্রিসোমালিসের ২ ছেলে ও ১ মেয়ের মাঝে তিনি ছিলেন মেজ।
সুরের প্রতি ভালবাসা থেকেই এই পরিবারটির অবসরের বেশিরভাগ সময় কাটত সুরকে ঘিরে। ৮ বছর বয়স থেকে ইয়ানী পিয়ানো বাজাতে শুরু করেন। কিন্তু বাধাধরা কাঠামোগত শিক্ষা নিতে তার অনাগ্রহ প্রকাশ পায় ভালভাবেই। সুরে তার স্বাধীনতাই তাকে রক্ষা করেছিল কাঠামোগত শিক্ষার কারখানা হতে।
প্রথম জীবনে ভাল সাঁতারু ছিলেন। ১৪ বছর বয়সে গ্রীসে একটি ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতায় একবার জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন। হাই স্কুল সম্পন্ন করে ১৯৭২ সালে তিনি আমেরিকায় আসেন এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটা থেকে সাইকোলজিতে গ্রাজুয়েশন পড়া শুরু করেন।

ইউনিভার্সিটির ছাত্র থাকাকালীন স্থানীয় রক এন্ড রোল ব্যান্ডগুলোতে অংশ নিতে থাকেন। এসময় তিনি পিয়ানো ও ইলেক্ট্রনিক কীবোর্ডে রপ্ত হয়ে ওঠেন এবং নিজ ধারার উন্নতি করতে থাকেন। ১৯৭৬ সালে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন জীবনে তার চলার পথ হবে সুরের পথ।
চ্যামেলিয়ন এর প্রধান ছিলেন চার্লি আডামস (ড্রামার)। সে সময় চ্যামেলিয়ন সুখ্যাতি লাভ করে বেশ কয়েকটি ট্যুর দিয়ে, বিশেষত মিনেসোটা, লোয়া, ইলিনয়েস, উইস্কন্সিন, সাউথ ডাকোটা প্রভৃতি স্টেটে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই রক এন্ড রোল ধারায় তিনি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।
এবারে ইয়ানী সম্পূর্ণ মনোযোগ দেন যন্ত্রসঙ্গীতের উপর। চলে যান লস এঞ্জেলসে এবং চার্লি আডামস ও জন ট্রেশকে নিয়ে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন। ১৯৯২ সালে বের হয় তার প্রথম গ্র্যামি মনোনীত অ্যালবাম ‘ডেয়ার টু ড্রীম’।

ইয়ানীস ক্রিসোমালিস ওরফে ইয়ানী ১৯৫৪ সালের আজকের দিনে (১৪ নভেম্বর) গ্রীসের ক্যালামাটায় জন্মগ্রহণ করেন।

Be First to Comment