Press "Enter" to skip to content

‘মনস্টারস বল’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ২০০২ সালে অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়েন হ্যালি বেরি…..।

শু ভ জ ন্ম দি ন হ্যা লি বে রি

বাবলু ভট্টাচার্য : ‘মনস্টারস বল’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ২০০২ সালে অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়েন হ্যালি বেরি। অ্যাওয়ার্ডটির ৯৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে পুরস্কারটি জিতেছিলেন তৎকালীন ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা।

এছাড়া ১৯৯৯ সালে ‘ইন্ট্রোডিউসিং ডরোথি ড্যান্ড্রিজ’ চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য জিতে নিয়েছিলেন এমি, গোল্ডেন গ্লোব, স্ক্রিন অ্যাক্টর্স গিল্ড ও এনএএসিপি ইমেজ পুরস্কার।

এমনকি এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন অস্কার তথা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য। এছাড়া অনেকেই তাঁকে চেনেন ‘বন্ড গার্ল’ হিসেবে। তিনি হ্যালি বেরি।

২০০২ সালে জেমস বন্ড সিরিজের জনপ্রিয় ছবি ‘ডাই অ্যানাদার ডে’-তে কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৩ সালে বিশ্বখ্যাত এফএইচএম ম্যাগাজিনের মতে, তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ১০০ আবেদনময়ী নারী তারকার তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছিলেন।

২০০০ সালের দিকে হ্যালি বেরি ছিলেন হলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী। ২০০৩ সালে পিপল ম্যাগাজিনের ৫০ মোস্ট বিউটিফুল পিপল অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেন এবং টানা সাতবার শীর্ষ ১০-এ স্থান করে নেন।

২০০৭ সালের এপ্রিলে চলচ্চিত্র শিল্পে তাঁর অবদানের জন্য ৬৮০১ হলিউড বুলেভারের কোডাক থিয়েটারের সামনে হলিউড ওয়াক অব ফেমে তাঁর নামাঙ্কিত তারকা খচিত হয়। একই বছরের শেষে প্রতি চলচ্চিত্রের জন্য প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার আয় করে তিনি হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

২০০৮ সালে নিজের সন্তান থাকা সত্ত্বেও জিতেছিলেন সেক্সিয়েস্ট ওইমেন অ্যালাইভ পুরস্কার।

অভিনেত্রী হবার আগে হ্যালি বেরি ছিলেন মডেল। ১৯৮৬ সালের মিস ইউএসএ-তে প্রথম রানার-আপ হয়েছিলেন তিনি। এরপর প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান হিসেবে ১৯৮৬ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগীতায় একজন প্রতিযোগী হিসেবে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি ষষ্ট হয়েছিলেন।

১৯৯১ সালে ‘জাঙ্গল ফিভার’ চলচ্চিত্রে ছোট্ট একটি চরিত্রের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জগতে অভিষেক ঘটে। এরপর অভিনয় করেছেন বহু সফল চলচ্চিত্রে।

জেমস বন্ড সিরিজের বন্ড গার্ল চরিত্রটি সম্ভবত তার অভিনীত সবচেয়ে বিখ্যাত চরিত্র। তবে তিনি ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আরেক বিশ্বখ্যাত সিরিজ ‘এক্স-মেন’-এর চারটি ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। এত অর্জনের মাঝে তাঁর অন্যরকম অর্জনও আছে।

‘ক্যাটওমেন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ২০০৫ সালে বাজে অভিনয়ের পুরস্কার রেজি অ্যাওয়ার্ড জয় করেন! সাধারণত ব্যাঙ্গ করেই এসব পুরস্কার দেয়া হয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি সেই পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, তুমি যদি ভালো লুজার না হতে পারো, তবে তুমি ভালো উইনারও হতে পারবে না।

এই বিখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনেও জড়িত। ২০০৬ সালে তিনি জেমস বন্ড চলচ্চিত্রে নিজের সহ-অভিনেতা পিয়ার্স ব্রুসনানসহ অন্যদের সাথে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি গ্যাসক্ষেত্র স্থাপনের বিরুদ্ধে লড়েন। ফলশ্রুতিতে গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার সেটা বাতিল করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রচারণায়ও অংশ নেন হ্যালি বেরি। গুচ্চি’র চাইম ফর চেইঞ্জ নামক একটি ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে তিনি নারীদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো ইস্যুতে তহবিল সংগ্রহ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা চালান।

হ্যালি বেরি ১৯৬৬ সালের আজকের দিনে (১৪ আগস্ট) আমেরিকার ওহিও স্টেটে জন্মগ্রহণ করেন।

More from CinemaMore posts in Cinema »
More from EntertainmentMore posts in Entertainment »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.