Press "Enter" to skip to content

১৯৬৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার ডা. ইব্রাহিমকে সিতারা-ই-খিদমত উপাধিতে ভূষিত করে….।

Spread the love

জন্মদিনে স্মরণঃ ডা. মো হা ম্ম দ ই ব্রা হি ম

আজকের পৃথিবীর অন্যতম এক রোগের নাম ডায়াবেটিস। এই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বৃহৎ হাসপাতাল বাংলাদেশের বারডেম।

শাহবাগে অবস্থিত ছয় শত শয্যার এই হাসপাতাল এক মহান মানুষের স্বপ্নের ফসল। তিনি জাতীয় অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় জন্ম নেয়া মোহাম্মদ ইব্রাহিম কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন ১৯৩৮ সালে।

১৯৪৫-৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন।

দেশ বিভাগের পর তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং চট্টগ্রামে সিভিল সার্জন পদে যোগদান করেন। একই সঙ্গে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিনের শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৪৮ সালে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম যুক্তরাজ্য থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫০ সালে দেশে ফিরে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাডিশনাল ফিজিশিয়ান হিসেবে যোগদান করেন। তারপর পর্যায়ক্রমে তিনি ক্লিনিক্যাল মেডিসিন ও মেডিসিনের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে থাকাকালীন ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবীদের সহযোগিতায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় পাকিস্তান ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি আমেরিকান কলেজ অব চেস্ট ফিজিশিয়ানস, পাকিস্তান চ্যাপ্টারের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬২ সালে পাকিস্তান কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস থেকে এফসিপিএস ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিনের অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন।

ডা. ইব্রাহিম মন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার ডা. ইব্রাহিমকে সিতারা-ই-খিদমত উপাধিতে ভূষিত করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৮ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে পরিচিত স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৮৪ সালে তিনি দেশে চিকিৎসকদের মধ্যে প্রথম জাতীয় অধ্যাপক হন। ১৯৮৫ সালে বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন এবং একই বছর চিকিৎসা ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য মাহবুব আলী খান পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৮৬ সালে জর্দানে অবস্থিত ইসলামিক একাডেমি অব সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাঁকে প্রতিষ্ঠাতা ফেলো নির্বাচন করা হয়।

১৯৮৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৯১১ সালের আজকের দিনে (১ জানুয়ারি) মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

More from HealthMore posts in Health »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *