শ্রীজিৎ চট্টরাজ / গোপাল দেবনাথ: কলকাতা, ১০ অক্টোবর ২০২১। দুর্গাপুজো আজ শুধু ধর্মীয় উৎসবে সীমাবদ্ধ নেই। পুজোর আড়ালে সামাজিক উৎসব হয়ে উঠেছে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য।
করোনা আবহে মানুষের উৎকণ্ঠা, ভীতি সভ্যতার ইতিহাসে এক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ তেও মানুষ তাই এই শারদীয় উৎসবে বাঁধনছাড়া আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি।
এই বছর করোনার প্রকোপ করায়ত্ত হলেও বিপদমুক্ত বলা যায় না। তাই যথেষ্ট সংযমের সঙ্গেই পালিত হবে বাংলার সেরা উৎসব। উৎসব মানে যদি নতুন জামা, নতুন জুতো, বোঝায়, তেমনই সামাজিক মেলামেশাও উৎসবের অন্যতম অঙ্গ। উৎসবে সব থাকবে, কিন্তু রসনা তৃপ্তির আয়োজন থাকবে না তাই কখনও হয়?
বাংলার মানুষ খাদ্যরসিক।
চাউ থেকে চমচম, ধোকা থেকে ধোসা সর্বত্র অবাধ বিচরণ। উৎসবের প্রাক্কালে কলকাতার ছোট বড় সব হোটেলেই তাই চর্ব চোষ্য, লেহ্য পেয়র আয়োজন হয় আকর্ষণীয় পদের সমারোহে।
এমনই রাজকীয় খানা খাজনা নিয়ে হাজির কলকাতার পূর্ব প্রান্তের সল্টলেক উপনগরীর
চারতারা খচিত হোটেল হোটেল দে শোভরাণী । ৮ থেকে ৮০ সবার জন্য অঢেল খাদ্য ও পানীয়ের সম্ভার। রসেবশে থাকার নবাবী মনের রসিকদের জন্যও থাকছে লোভনীয় মকটেল আর ককটেলের আয়োজন।
থাকছে নিরামিষ আমিষের শত পদ। উৎসবের দিনে তিনশো টাকারও কম খরচে মিলবে বাড়িতে বসে রসনা তৃপ্তির কম্বো প্যাক। থাকছে নিরামিষ ও আমিষ বিরিয়ানি।
উৎসবের দিনে অনেকেই চোখের খিদেতে বিশ্বাসী।শতপদের আয়োজন ছাড়া যাদের মন ভরে না। তাঁদের জন্য থাকছে সহনীয় দামে লোভনীয় পদ সম্ভার। মাত্র ৬৯৯/- টাকায় মিলছে ২৫ রকমের পদ ব্যুফে লাঞ্চ ও ডিনার। ঘোল খাইয়ে শুরু।
ফিশ রোল,পনির টিক্কা ভায়া টমেটো তুলসি সোর্বা পেরিয়ে মুরগি মাটনের আয়োজন। সঙ্গতে তিন ভাজাসহ মশলা পোলাও, ঘি ভাত। শেষ পাতে বাঙ্গলির সেরা সৃষ্টি মিষ্টি, দই ও আমসত্ত্বের আইসক্রিম। মুখশুদ্ধি চকোলেট পান ।
আবার উৎসবের দিনে যাঁরা হিসেব করে চলতে রাজি নন, মেজাজটাই তো আসল রাজা নীতিতে বিশ্বাসী, তাঁদের জন্য আছে প্রিমিয়াম ব্যুফের আয়োজন। তালিকায় আছে ৪৬ পদ। মহরত পানীয় ২রকম ।শুরুয়াত ৪ রকমের স্টার্টার দিয়ে গলা ভেজানোর স্যুপ।আছে ৪ রকমের স্যালাড। বিশেষ আকর্ষণ রাঙা আলুর বেদানা চাট আর কাসুন্দি মাছের স্যালাড।
নারকেল ছোলার সাবেকি ডাল, হিং আলুর দম, ছানার মহিমা, ঠাকুরবাড়ির দুধ শুক্তনি, পঞ্চ ভাজা, পাঁচ চাটনি, পঞ্চ পাঁপড়। আছে ভাপা চিংড়ি, বোয়াল মাছের ঝাটি, মুরগির ট্রামফ্রাদো, ঢাকাই পোড়া মাংস। শেষ পাতে ৬ রকমের ডেজার্ট। আর বাংলার মুখশুদ্ধি খিলি পান। খরচ জন পিছু মাত্র ১১০০/-টাকা।
করোনা আবহে যাঁরা পায়ে সর্ষে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা ছন্দে, এবার কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করেছে হোটেল কতৃপক্ষ। মাত্র ৯৯৯৯/- টাকায় যুগলের জন্য ২ রাত্রি ৩দিন লাক্সারি ঘরে দিনযাপন।
ছয় বছর কমবয়সী একজন সন্তানের জন্য বিনামূল্যে শয্যা। এই প্যাকেজ যে স্বর্গসুখের নামান্তর, তা বোঝা যায় সুযোগ সুবিধের তালিকা দেখলে। ঘরে চাবি নিয়ে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বরণপানীয় যা ওয়েলকাম ড্রিংকস নামে পরিচিত। প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজন, নৈশভোজ তো থাকছেই, সঙ্গে রসেবসে থাকা আবাসিকদের জন্য থাকছে নির্ধারিত পরিমাণে বিয়ার ও মকটেল।
যাঁরা অষ্টমী ও নবমীতে মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে চান, তার ব্যবস্থাও থাকছে। একটা শুধু ফোন। হোটেলের ৫/৬ কিলোমিটারের মধ্যে বাস স্টপ বা রেল স্টেশন থেকে হোটেলে নিয়ে আসা ও ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও হোটেল কর্তৃপক্ষের।
এবারের পুজোর ছুটি কাটাতে শ্লোগান তুলুন, স্বাদে আহ্লাদে চলো যাই, সেই পুরানো ক্যালকাটাতে। ডেস্টিনেশন সল্টলেকের চারতারা খচিত হোটেল দে শোভরাণী।
Be First to Comment