Press "Enter" to skip to content

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলার কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন…..।

Spread the love

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : কলকাতা, ২৮ নভেম্বর ২০২১। ওয়ারেন হেস্টিংস এর হাত ধরে ভারতে সিভিল সার্ভিসের চল। চার্লস কর্নওয়ালিশ সাহেবের উদ্যোগে আধুনিকীকরণ। চার্লস কর্ণ ওয়ালিশকে তাই বলা হয় সিভিল সার্ভিসের জনক। ১৯২২ এ প্রথম ভারতে সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু হয় দিল্লিতে। সে হিসেবে সিভিল সার্ভিসের শততম বর্ষ পালিত হবে ২০২২ সালে।
শনিবার মধ্য কলকাতার আই সি সি আর মঞ্চে সিভিল সার্ভিসে কর্মরতদের হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপের তরফ থেকে ২০২০ র পশ্চিমবঙ্গের সিভিল সার্ভিস ২০২০পরীক্ষায় কৃতি ছাত্রছাত্রীদের এক সম্বর্ধনা জানানোর ব্যবস্থা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের বেশকিছু কৃতিদের মধ্যে ছিলেন এক ছাত্রী ময়ূরী মুখার্জি। ময়ূরী বেলঘরিয়া মহাকালী গার্লস হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অনার্স স্নাতক হন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বোটানি বিষয়ে এম এস সি করেন । যাদবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজিতে পি এইচ ডি থিসিস দাখিল করেন ২০২১ সালের আগস্ট মাসে। এরপর সাফল্য সিভিল সার্ভিসে।
সম্বর্ধনার প্রেক্ষিতে ময়ূরী জানান, আগামীদিনে এই বিষয়ে মেয়েরা আরও বেশি যেন এগিয়ে আসেন, সেইকাজে তিনি সচেষ্ট হবেন। অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞ বহু সিভিল সার্ভিসে কর্মরত আধিকারিক ও প্রাক্তনীরা এই নতুন প্রজন্মকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তালিকায় অন্যতম ছিলেন মিনিস্ট্রি অফ টেক্সটাইল এর জুট কমিশনার এম সি চক্রবর্তী । দেশ গঠনের ক্ষেত্রে আমলাদের ভূমিকার গুরুত্বের কথা তিনি ব্যাখ্যা করেন।
প্রসঙ্গত বলা যায়, রাশিয়ায় স্ট্যালিন, ভারতের সর্দার প্যাটেল ও প্রধানমন্ত্রী নেহেরুও সিভিল সার্ভিসের আধিকারিকদের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, আমলারা ছাড়া দেশ বা জাতি গঠন সম্ভব নয়। ভারতে প্রতিবছর ২১এপ্রিল পালিত হয় সিভিল সার্ভিস দিবস। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের আমলাদের সেদিন কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে পুরস্কৃত ও সম্মানিত করা হয়। বক্তাদের অনেকেই সিভিল সার্ভিসে যোগদানকারী বাঙালিদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন এবং বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেন ।
এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল, মেধা, পরিশ্রম ও নিষ্ঠাকে অবলম্বন করে নতুন প্রজন্ম যখন আমলা হন তখন যোগ্যতার মাপকাঠিতে খাটো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে চলতে হয় তখন যে হতাশা আসে স্বাভাবিক ভাবে ,তখন তাঁদের জন্য অভিজ্ঞতালব্ধ আমলারা কি পরামর্শ দেবেন? এই প্রশ্নের সদর্থক ও স্পষ্ট উত্তর কিন্তু কেউ দিলেন না। হয়ত কোনও বাধ্যবাধকতা থাকতেই পারে।

More from EducationMore posts in Education »
More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *