সৃঞ্চিণী পোদ্দার, কলকাতা: ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। হাট বসেছে শুক্রবারে । বক্সীগঞ্জের পদ্মা পাড়ে। জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে। গ্রামের মানুষ বেচে কেনে। বিশ্ব বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা হাট কবিতার লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে পাঁচফোড়নের প্রাঙ্গণে এলে। তবে এই হাট বসেছে বক্সীগঞ্জের পদ্মা পারে নয়। এই হাট বসেছে একডালিয়ার সিটিজেন পার্ক প্রাঙ্গনে। যেখানে একই ছাদের তলায় এলে মিলবে ছেলে মেয়েদের সাজগোজের রকমারি জিনিস থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার বাদশাহী রকমারি খাবারের সম্ভার। হাতের তৈরি নানা রকমের ঘর সাজানোর সরঞ্জাম মিলবে এই হাটে এলে। আবার আপনি এখানে এলে পেয়েও যেতে পারেন নিত্য প্রয়োজনীয় ঘর সাজানোর হাতের তৈরি নানা রকমের জিনিস থেকে শুরু করে আর্টের নানা কারুকার্য করা শিল্পকলা । কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখার্জির তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ কলকাতার একডালিয়া সিটিজেন পার্ক প্রাঙ্গনে সম্পন্ন হল তিন দিনব্যাপী পাঁচফোড়ন নামে এক অভিনব স্ট্রিট কার্নিভালের।
শীতকাল মানেই উৎসব। শীতকাল মানেই মেলা। তবে এ যেন এক হাট। কলকাতার একডালিয়া এলাকায় অবস্থিত সিটিজেন পার্ক প্রাঙ্গণে শুরু হয়ে গেলো তিনদিন ব্যাপী পাঁচফোড়ন নামে এক ফেস্টিভ্যালের। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছোট বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সুন্দরবনের অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকার সংগ্রাম করা মানুষের নিজেদের হাতের তৈরি মধু থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত বহু মানুষদের নিজেদের হাতে তৈরি ব্যাগ কিংবা পোশাক কিংবা গহনা পাওয়া যাবে এই পাঁচফোড়নে এলে। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের সাবলম্বী করে তুলতে এই উদ্যোগ এমনটাই বললেন উদ্যোক্তারা।
এই দিন একডালিয়া সিটিজেন পার্কের প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই পাঁচফোড়ন ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনে আসেন বহু বিশিষ্ট লেখক গায়ক থেকে শুরু করে চিকিৎসকেরা। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বহু শারীরিকভাবে সক্ষম নয় এমন ছেলেমেয়েদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য হাতের বানানো নানা রকমের জিনিস তৈরির কাজ শেখানো হয় এই দিনের এই পাঁচফোড়নের ফেস্টিভেল প্রাঙ্গনে।
Be First to Comment