Press "Enter" to skip to content

সত্যজিৎ রায়ের ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’ হোক বা ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’, ‘শাখাপ্রশাখা’, ‘সোনার কেল্লা’ থেকে ‘সীমাবদ্ধ’-সহ বেশির ভাগ ছবিতেই হারাধন বন্দোপাধ্যায়ের অভিনয় নজর কেড়েছে আপামর বাঙালির……।

Spread the love

জন্মদিনে স্মরণঃ হা রা ধ ন ব ন্দ্যো পা ধ্যা য়

বাবলু ভট্টাচার্য : হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত অভিনয়ে নিয়োজিত প্রাণ। বড়পর্দা ও টেলিভিশন দুই মাধ্যমেই বহু চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বাংলা সিনেমার সবচেয়ে উজ্জ্বল কিছু পরিচালক, যেমন সত্যজিৎ রায় এবং মৃণাল সেনের সঙ্গে কাজ করেছেন।

হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলজীবন শুরু বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় এবং ছাত্রজীবন শেষ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গানশেল ফ্যাক্টরিতে কর্মজীবন শুরু। পরে একটি জীবনবিমা কোম্পানিতে যোগ দেন। অবসর গ্রহণ সেইখান থেকেই। স্বাধীনতা বিপ্লবে অংশ নিয়ে জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে।

১৯৪৮ সালে অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ‘দেবদূত’ দিয়েই চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ হারাধনবাবুর। এর পর আর পিছনে ফিরতে হয়নি। অভিনয়ের জয়রথে চড়েই প্রতিটি বাঙালির কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

সত্যজিৎ রায়ের ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’ হোক বা ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’, ‘শাখাপ্রশাখা’, ‘সোনার কেল্লা’ থেকে ‘সীমাবদ্ধ’-সহ বেশির ভাগ ছবিতেই হারাধনবাবুর অভিনয় নজর কেড়েছে আপামর বাঙালির।

এ ছাড়াও চলচ্চিত্র জগতের বহু খ্যাতনামা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন এই গুণী শিল্পী। মঞ্চশিল্পী হিসাবেও তিনি যথেষ্ট খ্যাত ছিলেন।

উৎপল দত্তের ‘ফেরারি ফৌজ’ নাটকে তাঁর অভিনয় সাড়া ফেলে দিয়েছিল। শেষ দু’টি ফেলুদার ছবিতে তিনি ছিলেন ‘সিধু জ্যাঠা’। শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি অনুরাগ বসুর ‘বরফি’।

২০০৫ সালে শ্রেষ্ঠ সহকারি অভিনেতা হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১১-তে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করেছে।

২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি মৃত্যু হয় হারাধনবাবুর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২৬ সালের আজকের দিনে (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

More from CinemaMore posts in Cinema »
More from EntertainmentMore posts in Entertainment »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.