Press "Enter" to skip to content

সংক্রামক জনিত রোগের প্রকোপ প্রতিরোধে নিম পাতা খাওয়া খুব ই উপকারী।……..

Spread the love

—————–রোগ প্রতিরোধে নিম—————
মৃদুলা ঘোষ: কলকাতা, ১৫মে ২০২০। গ্ৰীষ্ম প্রধান অঞ্চলের অত্যন্ত মূল্যবান গাছ নিম। ভারতের সর্বত্রই দেখা যায় এই নিম গাছ, যার জন্য কোনো খরচ নেই, অথচ এর মূল থেকে শুরু করে, পাতা, ফুল ,ফল, প্রতিটি অংশই ভীষণ ভাবে কাজে লাগে। অত্যন্ত উষ্ণ অঞ্চলে ও খুব কম পুষ্টি তে নিম গাছ বহুদিন বাঁচে। বেদ ও প্রাচীন ঔষধি সংক্রান্ত গ্ৰন্থে নিম সম্পর্কে প্রচুর প্রশস্তি করা আছে। নিম কে বলা হয় নিম্ব বা যক্ষ্মা। ক্ষয় রোগ রোধে , হার্টের জ্বালা রোধ করতে অনন্য ভূমিকা পালন করে। বসন্ত ঋতু তে নিম এর কদর বেড়ে যায়। নরম খয়েরি, লালচে কচি পাতা বেগুন সহযোগে ভাজা খাওয়া হয়।

প্রাচীন কাল থেকে জনপ্রিয়, প্রচলিত নিমে র যে সর্ব রোগ হরণ করা র ক্ষমতা আছে তা, বয়স্ক থেকে বহু আধুনিক মনস্ক মানুষ আজও বিশ্বাস করে। বৈদিক সূত্র ধরে জানতে পারি নিমে র ভেষজ গুণ সম্পর্কে জানতে পারি। “চরতং সংহিতা” য় শিশু র জন্ম মূহুর্তে নিমপাতা ব্যবহার এর নির্দেশ আছে যেকোন সংক্রমণ রুখতে। নবজাতক কে সুস্থ রাখবে নিমে র বাতাস। নিমে র তিক্ততা গুন সর্বোচ্চ, তাই, বসন্ত কালে প্রাকৃতিক আবহাওয়ার জন্য নানা সংক্রামক জনিত রোগের প্রকোপ প্রতিরোধে নিম পাতা খাওয়া খুব ই উপকারী। তার সাথে, নিমে র বিভিন্ন অংশ যেমন, নিম বীজ, নিম তেল, নিম পাতা, নিম ছাল, কাঠ, নানা অনুপান সহযোগে পান করলে অজীর্ণ, জন্ডিস, লিভার ব্যাথা, ব্লাড সুগার, রাতকানা, বিভিন্ন প্রকার ফোঁড়া, বমি, চোখ ঝাপসা, শুকনো কাশি, রক্ত দৃষ্টি, ঘুসঘুসে জ্বর, ক্রিমি, অরুচি, মুখের বা মাড়ির ঘা ,মাথা ধরা, সর্দি গর্মি, এমনকি চুলের অকাল পক্বতা রোধে নিমের কার্যকারিতা অনস্বীকার্য। যে সকল রোগে নিম প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে তা হলো… যে কোনো ক্ষতস্থান নিম পাতা সেদ্ধ জল দিয়ে প্রতি দিন ধুয়ে ফেলতে পারলে, ক্ষত স্থান দ্রুত শুকিয়ে যাবে।

যাদের কোন চর্মরোগ আছে, যেমন, দাদ, হাজা, চুলকানী র সমস্যা আছে, তারা যদি কিছু দিন নিয়ম করে, কাঁচা নিমপাতা হলুদ দিয়ে বাটা পেষ্ট ত্বকের লেপে দেয়, তবে কিছু পর এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। যাদের ঘনঘন ফোঁড়া হবার সম্ভাবনা থাকে, তারা কিছু দিন, কচি নিমপাতা গাওয়া ঘি র সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন। খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।

ক্রিমির আক্রমণ কমাতে, জন্ডিস এর উপকারে, কাঁচা নিমপাতার রস মধু দিয়ে রোজ সকালে খেতে পারলে খুব ভালো কাজ হবে। বসন্ত কালে কচি নিমপাতা ভেজে খাওয়া দরকার। আর হাম, বসন্ত হলে নিমপাতা হলুদ দিয়ে বেটে গুটি র উপর প্রলেপ দিলে আরাম পাওয়া যায়।

নিমের উপকারিতার খবর সারা বিশ্বের কাছে জানা বিষয়। গবেষকদের মতে, শুধু আমাদের দেশেই নয়, পশ্চিম জার্মানি, ঘানা, নাইজেরিয়া, তে নিম এর কার্যকারিতা নিয়ে লাগাতার গবেষণা চলছে। নিম যে আমাদের উপকারি বন্ধু তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *