নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৯ অক্টোবর, ২০২৫। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স নিয়ে এসেছে ‘ চমক ভরা ধনতেরাস ‘। যা চলবে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।
‘ধনতেরাস’ হল সম্পদ এবং সৌভাগ্যের দেবীকে বাড়িতে স্বাগত জানানোর উৎসব। স্বর্ণ ও হীরের গহনা কেনার মাধ্যমেই এই উৎসব উৎযাপন করার রীতি। দেবী ধন লক্ষ্মীর আশীর্বাদে এবং সোনা ও হীরে থেকে যে উজ্জ্বল ছটা বেরোয় তাতেই পরিবারের সুখ, শান্তি আর সৌভাগ্য আসে। তাই এই উৎসবের এক বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।
‘চমক ভরা ধনতেরাস’ হল দীপাবলি উৎসবে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-এর সোনা ও হীরের গয়নার বার্ষিক প্রদর্শনী।
প্রতিবছরের মতো এবারও ‘চমক ভরা ধনতেরাসে’ থাকছে এমনই কিছু বিশেষ ধরনের গয়নার সম্ভার যা ক্রেতাদের মন ছুঁয়ে যাবেই। তার সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় অফার। এই গয়নার সম্ভারের মধ্যে রয়েছে হাতে তৈরী সোনা ও হীরের গয়না, ঐতিহ্যপূর্ণ এবং হালফিলের আধুনিক ডিজাইনের বিয়ের গয়না যা সকলের নজর কাড়বে। চোখ ধাঁধানো অথচ সাধ্যের মধ্যে হীরের গয়না আর শ্যাম সুন্দর কোম্পানির নিজস্ব ডিজাইনার কালেকশন ও গ্রহরত্নের সম্ভারও তো আছেই।
এছাড়া ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ আকর্ষণীয় এক গুচ্ছ অফার এবং সুযোগ :-
সোনার গয়না কেনাকাটায় মজুরিতে থাকছে প্রতি গ্রামে ৫২৫ /- টাকা ছাড়।
হিরের গয়না তৈরির মজুরিতে থাকছে ১০০% ছাড়।
প্রত্যেক কেনাকাটায় থাকবে নিশ্চিত উপহার এবং ১৫০০/- টাকা পর্যন্ত্য বিশেষ ডিসকাউন্ট ভাউচার।
মেগা ড্র তে থাকছে
৫টি স্কুটি জেতার সুযোগ !
(শারদীয়া স্বর্ণসম্ভার ২০২৫ ও চমক ভরা ধনতেরাস ২০২৫ -এ যৌথ ভাবে এই পুরস্কার দেওয়া হবে)
সঙ্গে থাকছে মাত্র ২৫% অগ্রিম দিয়ে সম্পূর্ণ গয়নার মূল্য নির্ধারণ করার সুযোগ। সুযোগটি ৩১ অক্টোবর ২০২৫ অব্দি নেওয়া যাবে- যেখানে গয়না নেবার দিন সোনার দাম বেড়ে গেলেও বর্ধিত দাম দিতে হবে না, কিন্তু সোনার দাম কমে গেলে কম দামেই গয়নার মূল্য নির্ধারিত হবে।
এছাড়াও থাকছে অন্যান্য সুযোগ, পরিষেবা এবং সোনায় সোহাগা অফার (গয়না কেনার জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট স্কিম) , পুরোনো সোনার গয়না বদল করে নতুন গয়না কেনার সুবিধা এবং সোনা ও রুপোর কয়েন সবই পাওয়া যায়। এছাড়া রুপোর বাসনপত্র ও রুপোর তৈরী পুজোর সামগ্রীও থাকছে।
সব মিলিয়ে এমন এক বিশেষ উপহার যা দীপাবলির উজ্জ্বল আলো আর দীপ্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স সকলের পছন্দের এমন একটি গয়না প্রতিষ্ঠানের নাম যারা এই আলো, খুশি আর আনন্দ উৎসবের সময়কে আরো বিশেষ করে তুলতে ক্রেতাদের জন্য রেখেছে সুন্দর উপহার আর অফুরান শুভেচ্ছা।
‘আলো ও আনন্দের উৎসব’কে স্বাগত জানিয়ে, ‘চমক ভরা ধনতেরাস’-এর একুশতম সংস্করণের বিশেষ প্রিভিউ আজ অনুষ্ঠিত হল এক ঐতিহ্যবাহী প্রদীপ তৈরী করার শিল্পীর কর্মশালায় — আপাত ভাবে অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকা জায়গাকে আলোকিত করতে এবং দীপাবলিকে সত্যিকার অর্থে ‘আলোর উৎসব’ করে তোলার ক্ষেত্রে মৃৎশিল্পী সমাজের অবদানের বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন করা হয়।
এবছরের ‘চমক ভরা ধনতেরসের’ বিশেষ কালেকশন গুলো উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট লাইফ কোচ ও নৃত্যগুরু অলকানন্দা রায়, পাশে ছিলেন অর্পিতা সাহা ও রূপক সাহা, শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-এর দুই ডিরেক্টর।
এদিনের অনুষ্ঠানে এসে অলকানন্দা রায় বলেন, ‘দীপাবলিকে সত্যিকারের আলোর উৎসব করে তুলতে ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্পীদের অবদানকে সামনে আনার এই অর্থবহ উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। এই সুন্দর উদ্যোগের জন্য শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-কে অভিনন্দন জানাই।’
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-এর ডিরেক্টর রূপক সাহা বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মাটির যে প্রদীপ দিয়ে আমরা দীপাবলির উদযাপন করি , তাকে নতুন করে চেনা — শুধু শুভ আলোর প্রতীক হিসেবে নয়, বরং সেই শিল্পীদের অবদানকে চিনে নেওয়া, যাঁরা আমাদের ঘরকে আলোকিত করেন, অথচ নিজেরাই থেকে যান অন্ধকারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ উদ্যোগ মূলত এক শ্রদ্ধাঞ্জলি — সেই শুভ মাটিকে, যার থেকে প্রদীপ তৈরি হয় এবং সেই দক্ষ শৈল্পিক হাতকে, যা তাকে আকার দেয়।’
আরেক ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা বলেন, ‘ধনতেরাস মানেই ধন-সম্পদের দেবীকে ঘরে আমন্ত্রণ জানানোর উৎসব। আমরা ২০ বছর আগে চমক ভরা ধনতেরাস-এর সূচনা করেছিলাম। আমাদের গ্রাহকদের জন্য এটি ছিল সোনা ও হীরের গয়না কেনার এক সুবর্ণ সুযোগ, যা আসলে পরিবারে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিগত বছরগুলিতে চমক ভরা ধনতেরাস- এর আকার ও পরিসরে অনেকটাই বেড়ে উঠেছে। সোনার ও হীরের গয়নার উৎসবের পাশাপাশি আকর্ষণীয় অফার ও লাকি ড্র-র মাধ্যমেও গ্রাহকদের মন জয় করে এসেছে।’
সব শেষে, অর্পিতা ও রূপক সাহা বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রিয় গ্রাহকদের ভালোবাসা ও আস্থার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমরা ডিজাইন, কারিগরি ও সুলভ মূল্যের উৎকর্ষ বজায় রাখব — যেন তাঁদের প্রত্যাশা সবসময় পূরণ করতে পারি।’
‘চমক ভরা ধনতেরাস’ অফারটি শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স- এর ত্রিপুরার ( আগরতলা, ধর্মনগর ও উদয়পুর) সব ক’টি শোরুম এবং কলকাতার সব ( গড়িয়াহাট, বেহালা ও বারাসাত) শোরুমেও ১০ থেকে ১২ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে।
উৎসবের দিনগুলো আপনাদের জীবনে আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠুক। এই আলোর উৎসব পরিপূর্ণতা পাক, এটাই কামনা করি। সকলকে আলোর উৎসবের অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও চমকভরা ধনতেরাসে আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানটির সুন্দর পরিসমাপ্তি হয়।
Be First to Comment