Press "Enter" to skip to content

শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স উদযাপন করেছে “জাতীয় পতাকা দিবস”….।

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : সুন্দরবন, ২১ জুলাই, ২০২৫। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স সুন্দরবনের ‘বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দির’-এ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপন করেছে।

১৯৪৭ সালে ২২ জুলাই ভারতীয় তেরঙ্গাকে দেশের জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করার স্মৃতি হিসেবে এদিনটিতে জাতীয় স্তরে “জাতীয় পতাকা দিবস” হিসেবে পালিত হয়।

‘বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দির’ হল সুন্দরবনের  প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত একটি বিদ্যালয়, যার দায়িত্বভার ‘শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স’ গ্রহণ করেছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত নৃত্য গুরু সুদর্শন চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তপন পট্টনায়ক, প্রেসিডেন্ট, রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা ওল্ড সিটি , দেবাশীষ বসু, প্রখ্যাত কথা শিল্পী ও রূপক সাহা, ডিরেক্টর, শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স।

এইদিনে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জাতীয় পতাকার তাৎপর্য বোঝানোর জন্য এক শিক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি জাতীয় পতাকার মধ্যে থাকা রং গুলি আসলে কীসের প্রতীক ও কী বার্তা দেয় সেটাও এই অধিবেশনে বোঝানো হয়। শিক্ষার্থীদের দেশাত্মবোধক গান, নাচ ও আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। কর্মসূচিটি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল।
ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের জাতীয় সঙ্গীতের পরিবেশনায় জাতীয় পতাকার সম্পর্কে অর্জিত নতুন জ্ঞানের প্রকাশ ঘটে।

এই অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক বিকাশ এর জন্য শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স ₹৫,৫০,০০০/ এর একটি চেক বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির হাতে তুলে দেন। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পড়াশুনার নানা সামগ্রী ও বর্ষার মোকবিলা করার জন্য প্রত্যেকের জন্য একটি করে ছাতা।

এই উপলক্ষে, সুদর্শন চক্রবর্তী সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন ,” জাতীয় পতাকা দিবস প্রত্যেককে উজ্জীবিত করে। বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দির এর শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠান আমার মন ছুঁয়ে গেছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করলে এদের মধ্য থেকেও অনেক শিল্পী পাওয়া যাবে।”
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের পরিচালক রূপক সাহা বলেন, “সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যামন্দির স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা। এই স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে আমার প্রয়াত মায়ের নামে, যিনি তাঁর জীবদ্দশায় অগাধ জ্ঞানের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলেন। যাঁরা তাঁর সান্নিধ্যে এসেছিলেন সেই অনুসারীরাও এখনো তাঁর কাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে চলেছেন – সেই লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, “বেলা সাহা সত্যিই এমন মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন যাঁর ভালোবাসা ও স্নেহ অনেকেই পেয়েছে- বিশেষ করে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর ভালোবাসা ও স্নেহের পরশ পেয়েছে। তাঁর স্মৃতিতে নামকরণ করা এই স্কুলের সঙ্গে আমাদের এক ভীষণ আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাই আমরা ‘বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দির’ কে আরো সার্থক করার জন্য এধরনের কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

তপন পট্টনায়ক বলেন, “ক্যালেন্ডারে জাতীয় পতাকা দিবস এক গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ এটি ভারতীয় তেরঙ্গাকে দেশের জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করার স্মৃতি হিসেবে পালন করা হয়। এটি বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ একটা দিন ছিল। কারণ এদিন তারা জাতীয় পতাকাকে কাছ থেকে দেখার ও এর গুরুত্ব বুঝতে পারে।”

এদিনের অনুষ্ঠানটি সবার মিলিত পঙক্তি ভোজন ও আনন্দের সঙ্গে শেষ হয়।

More from CultureMore posts in Culture »
More from EducationMore posts in Education »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.