নিজস্ব প্রতিনিধি : আগরতলা, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫। সোমবার ৬ই জানুয়ারি শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে নতুন বছর উদযাপন করলো।
প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স শিশুদের নিয়ে আনন্দ ও উল্লাসের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানটি করে থাকে।
এই বছরও এই হেরিটেজ জুয়েলারি হাউস গুরুকুল শিশু নিবাসের শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ইংরাজি নববর্ষ উদযাপন করলো ।
এই দিন শৈশবের আনন্দ মেখে শিশুরা নিজের মতো করে গান ও নাচ করে। তাদের সুপ্ত প্রতিভা তুলে ধরার জন্য এমনই একটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল। এরই সঙ্গে শিশুরা যাতে অনেক আনন্দ উপভোগ করতে পারে তাই তাদের জন্য ছিল বিভিন্ন রকমের খেলা। এর উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের এমন সুযোগ করে দেওয়া যাতে তারা মন থেকে আনন্দের সঙ্গে দিনটি কাটাতে পারে।
শিশুদের জন্য নানা উপহারও রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল পড়াশোনার সামগ্রী, খেলাধুলার সামগ্রী, তাদের পছন্দের ও পুষ্টির জোগান দেবে এমন কিছু খাবার, কেক এবং চকলেট।
উদযাপনের শেষে ছিলো সবাই মিলে একসথে বসে আনন্দে পঙ্ক্তিভোজন অর্থাৎ ভুরিভোজ।
এই ‘বর্ষ বরণ উৎসব’- এমন শিশুদের নিয়ে উদযাপন করা হয় যারা এই আনন্দ উদযাপনের মানে কী তা হয়তো জানে না।
এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বামী গিরিজানন্দজি মহারাজ। সাথে ছিলেন শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের দুই ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা ও রূপক সাহা।
স্বামী গিরিজানন্দজি মহারাজ শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের এই বিশেষ উদ্যোগের জন্য আশীর্বাদ করেন এবং ভবিষ্যতে সমাজের ভালোর জন্য যে সব প্রকল্পের ভাবনা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে তার জন্যও মঙ্গল কামনা করেন ।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স – এর কর্ণধার রূপক সাহা বলেন, “আমরা এমন এক প্রতিষ্ঠান যারা জুয়েলারি শোরুমের চার দেওয়ালের বাইরে সবসময় কিছু করার প্রয়াস করি। সমাজের যে কোনো প্রয়োজনে সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি ।”
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের আরেক কর্ণধার অর্পিতা সাহা বলেন “আমরা সর্বদা অসহায়, পরিত্যক্ত, আশ্রয়হীন নারী ও শিশুদের উদ্ধারে সহায়তামূলক উদ্যোগের পাশে থাকার চেষ্টা করি । আনন্দে মন ভরে থাকা শিশুদের মুখে যে হাসি দেখা গেছে সেটাই বলে দিচ্ছে এই বছর আমাদের নতুন বছর উদযাপন তারা কতটা উপভোগ করেছে। আর সেখানেই আমরা খুঁজে পেয়েছি এই প্রয়াসের সার্থকতা ।”
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের নববর্ষ উদযাপণের শেষ পর্বে ছিলো রাতে পথবাসীদের জন্য কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণ।
এদিন এক আনন্দেভরা দিনের মধ্যে দিয়ে সত্যিকারের এক নববর্ষ উদযাপন করা হয় ।
Be First to Comment