স্মরণঃ লী লা ম জু ম দা র
বাবলু ভট্টাচার্য : ভীষণ দ্যুতিময় তার গল্প বলার ঢঙ। রচনা করতেন অদ্ভূতুড়ে সব স্বপ্ন। তার কল্পনা আকাশ ছুঁয়ে যায়। অগণিত কোমল কাহিনির জন্মদাত্রী হয়েও তার জীবন কাঠিন্যে ভরা। ঘুরেছেন জীবনের অনেক পাকদন্ডী পথ। শিলং পাহাড়ের পাকদন্ডী পথেই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটে।
তার জন্ম রায় পরিবারের গড়পাড় রোডের বাড়িতে। তিনি প্রমদারঞ্জন রায় ও সুরমাদেবীর সন্তান। আমাদের সকলের কাছে গল্প বলা ঠাকুমা, বিশিষ্ট লেখিকা ও শিশু সাহিত্যিক লীলা মজুমদার।
লীলা মজুমদারের জন্ম ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। বাল্য জীবন কাটে শিলং পাহাড়ে। সেখানেই লরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি পরীক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পান।
লীলা মজুমদারের প্রথম গল্প ‘লক্ষ্মীছাড়া’ ১৯২২ সালে ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হল- ‘হলদে পাখির পালক’, ‘টং লিং’, ‘পদি পিসির বর্মী বাক্স’, ‘সব ভুতুড়ে’, ‘আর কোনখানে’, ‘খেরোর খাতা’, ‘বাতাস বাড়ি’, ‘দিনদুপুরে’, ‘রান্নার বই’ প্রভৃতি।
‘পাকদন্ডী’ নামে লেখা তার আত্মজীবনীতে শিলং-এ ছেলেবেলা, শান্তিনিকেতন ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর সঙ্গে তার কাজকর্ম, রায়চৌধুরী পরিবারের নানা মজার ঘটনাবলী ও বাংলা সাহিত্যের মালঞ্চে তার দীর্ঘ পরিভ্রমণের কথা বর্ণিত হয়েছে।
তিন ১৯৬৩-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সন্দেশ পত্রিকার সাম্মানিক সহ-সম্পাদক ছিলেন। পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার ও শিশু সাহিত্য পুরস্কার। ডা. সুধীর কুমার মজুমদারের সঙ্গে বিয়ে হয়।
লীলা মজুমদার ২০০৭ সালের আজকের দিনে (৫ এপ্রিল) কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
Be First to Comment