মধুমিতা শাস্ত্রী : কলকাতা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩।
পাঠান ছবিটির রিলিজ ও তার কারণে কিছু বাংলা সিনেমার হল থেকে উঠে যাওয়া নিয়ে একশ্রেণির মানুষ, অভিনেতা, সেমি-রাজনৈতিক নেতারা কুযুক্তি খাড়া করে কাঁদুনি গাইতে শুরু করেছেন। এঁরা সবাই একটা সহজ সরল বিষয়কে ইচ্ছে করে বা অজ্ঞতাবশত উপেক্ষা করে যাচ্ছেন। সেটা হল ব্যবসার নিয়ম। কী সেটা? ব্যবসায়ীরা সেই পণ্যই বেশি করে বিক্রি করতে চাইবেন যেটা থেকে তাঁরা অধিক ও দীর্ঘকালীন মুনাফা করতে পারবেন।
এখন বাংলার হলমালিকরা, পরিবেশকরা তো ব্যবসা করতেই নেমেছেন। তাঁদরও সংসার চালাতে হয়, কর্মচারীদের মাইনে দিতে হয়। আর সিনেমা ব্যবসা ভীষণ অনিশ্চিত একটা ব্যবসা। একটা ছবি থেকে প্রচুর লাভ হল তো পরেরটাই সুপার ফ্লপ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশক এবং হলমালিকরা চাইবেন যে ছবি থেকে নিশ্চিত লাভের সম্ভবনা বেশি সেটাকেই আঁকড়ে ধরতে। পাঠান, শাহরুখ খান এবং যশরাজ ফিল্মস সেরকমই এক প্রোডাক্ট। তাছাড়াও আরও অনেক রকম অঙ্ক কাজ করে। যেমন, ছবিটির পূর্বাঞ্চলের পরিবেশক বলতেই পারেন, এই ছবিটা না চালালে ঈদে সলমনের অমুক ছবিটা দেব না তোমায়। সব ব্যবসাতেই এগুলো অতি চেনা সিস্টেম। সিনেমাতও। কোন হলমালিক চাইবেন নিশ্চিত মোটা মুনাফা হারাতে!
এখন এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলা ছবিকে প্রোমোট করতে চাইলে দুটো পথ আছে। ১) বাংলা ছবির মার্কেট আরও বাড়াতে হবে। তবেই আরও পুঁজি ঢুকবে এই বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। যেটা দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি করে দেখাতে পেরেছে। বাংলা পারেনি। কারণ বাংলার সেমি-রাজনৈতিক নেতারা তো বিহার, অসম, ওড়িশার নামে নাক কুঁচকোয়। এই ব্যবস্থা করতে পারলে হিন্দি ছবির চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারবে। আর না পারলে দ্বিতীয় একটা পথ আছে।
২)সেটা হল এই সমাজ ব্যবস্থা বদলে ফেলে সেই সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে যেখানে অর্থ নয়, গুণমানই হবে মাপকাঠি। আছে সে ধক্? বাকিটা পাঠকরা বলবেন।
Be First to Comment