সুজিৎ চট্টরাজ : কলকাতা, ৩ অক্টোবর, ২০২২। ভলিবল খেলার সৃষ্টিকর্তা আমেরিকার নিউইয়র্ক নিবাসী ডব্লিউ জি মরগ্যান। সময়টা ১৮৯৫। তখন খেলাটির নাম ছিল মিনটোনেট। টেনিস খেলার নেট, বাস্কেট বল খেলার কিছু নিয়ম বেসবলের মিশ্রণে এই খেলার সৃষ্টি।১৯৯৫ সালে এই খেলার শতবর্ষ পালিত হয়েছে। আমাদের দেশে এই খেলার চল ১৯২৭ সালে শুরু হয়েছিল। টোকিও অলিম্পিকে প্রথম এই খেলা অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৬৪ সালে। শুধু ইউরোপেই ভলিবল খেলেন প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষ। বিশ্বে সেই সংখ্যা ৫০০ মিলিয়ন । ভারতেও পেশাদারী পরিচালনায় ভলিবল ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আই পি এল ধাঁচের ভলিবল প্রতিযোগিতা।
কলকাতায় কর্পোরেট স্তরে ভলিবলকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে কলকাতা থান্ডারবোলটস ভলিবল দল। অন্যতম কর্ণধার শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পাওয়ন কুমার পাটোদিয়া ও তাঁর পুত্র সুমেদ পাটোদিয়া জানালেন, সাংস্কৃতিক সংগঠন রাসলীলার পক্ষে অন্বেষা ঠাক্কার এক অভিনব পরিকল্পনা নিবেদন করেন। তিনি জানান, গুজরাতি সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ ধার্মিক অনুষ্ঠান নবরাত্রি। সেই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে ডান্ডিয়া নৃত্যের মাধ্যমে রাসলীলা হয়ে থাকে। তিনি এবার এই ডান্ডিয়া নৃত্যটি উপস্থাপন করতে চান ভলিবল ডান্ডিয়া হিসেবে । উৎসবের প্রাক্কালে ভলিবল সাধারণ মানুষের কাছে আরও ব্যাপক ভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে। এই অভিনব পরিকল্পনাটি আমাদের পছন্দ হয়েছে। দেশে ফুটবল ক্রিকেটের পর ভলিবল খেলার প্রচলন থাকলেও মানুষ এখনও বাংলা বা ভারতের জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের একজনের নাম বলতে পারবেন না।
এবারের গরর্বাঁ ভলিবল গরবাঁ হিসেবে উপস্থাপন করেন ভাবনা হেমানি। পাওয়ন পাটোদিয়া বলেন, কলকাতা থান্ডারবোলটস ফ্র্যাঞ্চাইজি এবার এক ইতিহাস সৃষ্টি করল। বিশ্বের কোথাও এর আগে ভলিবলকে জনপ্রিয় করে তুলতে সামাজিক অনুষ্ঠানে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত হয়ে ভলিবল ডান্ডিয়া উপস্থাপন করা হয়নি। দক্ষিণ কলকাতার অর্কিড গার্ডেন অ্যান্ড ব্যাংকয়েট প্রাঙ্গণে শহরের এক বিপুল সংখ্যক গুজরাতি সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসাহের সঙ্গে যোগ দেন এই অভিনব ভলিবল ডান্ডিয়া অনুষ্ঠানে। এই অভিনব ভলিবল ডান্ডিয়া দেখার জন্য সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল নজরকাড়া।
Be First to Comment