Press "Enter" to skip to content

শরৎচন্দ্রের কলকাতার বাসভবনে….।

Spread the love

ডাঃ দীপালোক বন্দ্যোপাধ্যায় : কলকাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। বাংলার সর্বযুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ” শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ” ৷ ভবঘুরে ,সন্ন্যাসী , বৌদ্ধভিক্ষু , পতিতালয়ের খরিদ্দার , ভাগ্যান্বেষী চাকুরে নানাভাবে মধ্যবিত্ত জীবনের নানা সংকট ও সীমাবদ্ধ বাস্তবকে লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ৷ হুগলীর ব্যান্ডেলের কাছে দেবানন্দপুর গ্রামে “অপরাজেয় কথাশিল্পীর ” জন্মস্থানে বারবার যাই প্রণাম জানাতে ৷ যেখানে ৩১শে ভাদ্র১২৮৩ বঙ্গাব্দে ( ১৮৭০ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর) তাঁর জন্ম ৷ থেকেছেন হাওড়া , ভাগলপুর , মায়ানমার , কলকাতা সহ নানাস্থানে ৷
তাঁর সব লেখা অনেকবার পড়েছি পাঠ্যবই ফাঁকি দিয়ে ৷ শ্রীকান্ত, দেবদাস , বড়দিদি , চরিত্রহীন , পল্লীসমাজ , অরক্ষণীয়া , দেনাপাওনা একেক সময় একেকটা বেশী ভালো লেগেছে ৷ অনিলা দেবী ছদ্মনামেও লিখেছেন ৷ প্রথম স্ত্রী শান্তি দেবী ,দ্বিতীয়া স্ত্রী মোক্ষদা ( হিরন্ময়ী ) ৷ ৬১ বছর ১ মাস
বয়সে বালিগঞ্জের এই ২৪ ,অশ্বিনী দত্ত লেনের বাড়ীতে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এখান থেকে অনুরাগীদের নিয়ে ঐতিহাসিক শোকযাত্রা কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গিয়ে নশ্বর দেহ দাহ হয় ৷ অল্প বয়সে কথা শিল্পীর এই প্রয়াণ তার পাঠকগণ মন থেকে মেনে নিতে পারেন নি। এই লেখক জীবিত থাকলে মধ্যবিত্ত জীবনের বহু অমূল্য সৃষ্টিতে পাঠক সমাজ সমৃদ্ধ হতেন। একটা মজার ঘটনা বলি – একদিন তাঁর কাছে দুজন রবীন্দ্র বিমুখ সাহিত্যপ্রেমী এসে শরৎবাবুর কাছে বিশ্বকবির নিন্দা করতে থাকেন ৷ বলতে থাকেন , রবিবাবু কি যে লেখেন মাথামুন্ড কিছুই বোঝা যায় না ৷ উত্তরে শরৎচন্দ্র বলেন ,” আমি লিখি আপনাদের জন্য আর রবিবাবু লেখেন আমাদের জন্য ” ৷ একবার শরৎচন্দ্র হাতে কাগজের প্যাকেট নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে আসেন ৷ ওটা দেখে রবিবাবু বলেন এটা কি হে শরৎ ৷ শরৎ হেসে বলেন ” পাদুকা পুরাণ ” ! আসলে ছিল জুতো !

More from CultureMore posts in Culture »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.