জন্মদিনে স্মরণঃ ভ ল তে য়া র
“দুর্নীতিপরায়ণ রাষ্ট্রে সৎ মানুষের একমাত্র বাসস্থান কারাগার।”
—– ভলতেয়ার
বাবলু ভট্টাচার্য : ফ্রসোয়া মারি আরুয়ে, পৃথিবীখ্যাত লেখক, একজন দার্শনিক। তবে সবাই তাকে চেনেন “ভলতেয়ার” নামে। এটি তার ছদ্মনাম।
বাবা-মায়ের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। ভলতেয়ারের পরিবার বেশ স্বচ্ছল ছিল। তবে তার শৈশবটা আনন্দমুখর নয়।
সাত বছর বয়সেই হারাতে হয় মা ম্যারি মার্গারেটকে। দাদার সাথে তার গড়ে উঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বড় হন দাদার কাছেই। প্যারিসের এক স্কুলে পড়াশোনা করেন। বাবার ইচ্ছা ছিল তাকে একজন আইনজীবী বানাবেন। তবে তিনি হেঁটেছিলেন অন্য পথে। তার ইছে হলো তিনি লেখক হবেন।
ভলতেয়ার ছিলেন খুব চালাক ও রসিক মানুষ। তার বিদ্রুপ করে কোনো কিছুর লেখার ক্ষমতা অতুলনীয়। এই বিদ্রুপ ও ব্যঙ্গ করে লেখার কারণে তাকে কম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। ১৭১৭ সালে তৎকালীন শাসক পরিবারকে ব্যঙ্গ করে লেখার পর তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। জীবনের একটা বড় অংশ তিনি নানা সময়ে নির্বাসনে কাটান। এমনকি কারাগারেও যেতে হয়েছে এ লেখককে।
ভলতেয়ারের লেখালেখিতে বাবা তাকে উৎসাহ দেননি। ১৭১৮ সালে তিনি প্রথম নাটক লেখেন। তখন বাবার আদেশ না মেনে লেখালেখি করাতেই ভলতেয়ার ছদ্মনামটি বেছে নেন বলে ধারণা করা হয়। তবে ভলতেয়ার নামের অর্থ কখনও ব্যাখ্যা করেননি তিনি।
লেখক হিসাবে ভলতেয়ার ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। নাটিকা, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ- সবই লিখেছেন দক্ষ হাতে। তার বইয়ের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। তার লেখা বিখ্যাত নাটিকাগুলো হলঃ জায়ের, ম্যাহোমেট, অদিপা প্রভৃতি। তার বিদ্রুপাত্মক উপন্যাস ক্যান্ডিড বেশ বিখ্যাত।
সব সময় বাকস্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন ভলতেয়ার। ফ্রান্সের সমাজ সংস্কারে তিনি অবদান রাখেন।
১৭৭৮ সালের ৩০ মে প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন ভলতেয়ার।
ফ্রসোয়া মারি আরুয়ে ওরফে “ভলতেয়ার” ১৬৯৪ সালের আজকের দিনে (২১ নভেম্বর) ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment