গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪। ছাত্রীদের শিক্ষা সমাজ গঠনে বিরাট ভূমিকা নেয়। এই কথা মাথায় রেখে লেকটাউন অঞ্চলে আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে লেকটাউন গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড গার্লস হাইস্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার ছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রে এক বিরাট ভূমিকা নেয়। ছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গত ২৯ জানুয়ারি সোমবার এবং ৩০ শে জানুয়ারী মঙ্গলবার দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো সুবর্ণজয়ন্তীবর্ষ অর্থাৎ ৫০তম বর্ষপূর্তি। এই বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্রী বাসুদেব মহাশয় ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতি শ্রবনা চৌধুরী’র আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আই.এস.আই কলকাতার প্রাক্তন পরিচালক পদ্মশ্রী ডাঃ বিমল কুমার রায়,সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অগ্নিনির্বাপন মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক মাননীয় শ্রী সুজিত বসু মহাশয় সহ বিশিষ্টজন।
বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের গাওয়া উদ্বোধনী সঙ্গীতের পর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মাননীয় শ্রী সুজিত বসু মহাশয়। পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান শিক্ষিকার উদ্বোধনী ভাষণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সংবর্ধনা প্রদান এবং কৃতি ছাত্রীদের পুরষ্কার প্রদানের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উপস্থাপনায় ‘তাসের দেশ ‘ নৃত্যনাট্য।প্রথমদিনের অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর অনবদ্য উপস্থাপনা। যা ছাত্রী শিক্ষিকা সহ উপস্থিত অতিথিদের আনন্দ প্রদান করে।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় প্রাতঃকালীন বিভাগের ছাত্রীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এরপর দিবা বিভাগের ছাত্রীরা ‘আবোল-তাবোল’ কবিতার আবৃত্তি ও অভিনয়ের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়কে।এরপর শিক্ষিকাবৃন্দের উপস্থাপনায় ‘মাটির টানে জীবনের গানে ‘লোকসঙ্গীতের অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যায় আলাদা মাত্রা এনে দেয়। এই রকম একটি ভালো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে গেলে যে বহুদিনের অধ্যবসায় প্রয়োজন সেটা উপস্থানা দেখে উপলব্ধি করা যায়। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম মূল আকর্ষণ ছিল বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রের উপস্থাপনা। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিদ্যালয়ের দুইদিন ব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব।
Be First to Comment