· যদি রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি ঠিক করা না হয়, এটি দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি, অন্ধত্ব অথবা অ্যামব্লায়োপিয়ায় নিয়ে যেতে পারে।
প্রিয়জিৎ ঘোষ : অতিমারির ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাম্প্রতিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিসংক্রান্ত সমস্যা। এই সমস্যাগুলির অন্যতম রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি যা বিশ্বব্যাপী মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে স্থায়ী স্ক্রিন টাইম ও ঘরে থাকার কারণে। কাছ থেকে কাজ করার বর্ধিত সময় ও তীব্রতা রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি বৃদ্ধির আশঙ্কা যোগ করেছে। রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি ঘটে যখন চোখের আকার রেটিনার ওপর সঠিকভাবে আলো পড়া থেকে চোখকে দূরে রাখে। এর ফলে অস্বচ্ছ দৃষ্টি, পাঠে জটিলতা, চোখের বিচ্যুতি, টান ও মাথাব্যথা হতে পারে। রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি সংক্রান্ত সবচেয়ে বেশি পরিচিত সমস্যাগুলি হল :
· মায়োপিয়া – প্রায়-দৃষ্টিহীনতা, চোখের তারার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কারণে ঘটে, সাধারণত উদ্ভব ঘটে প্রাপ্তবয়স্কদের 15-49 শতাংশের মধ্যে এবং বাচ্চাদের 1.2-42 শতাংশের মধ্যে।
· হাইপেরোপিয়া – দূরবর্তী দৃষ্টিহীনতা কারণ হল চোখের তারার দৈর্ঘ্য হ্রাস হওয়া অথবা যখন কর্নিয়া যথেষ্ট বেঁকা না হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা খুব পরিচিত ব্যাপার।
· অ্যাস্টিগম্যাটিজম – এই ত্রুটির কারণ হল চোখের কর্নিয়া অথবা লেন্সের অনুপযুক্ততা। এটি আলোর রশ্মির বিচ্যুতি এবং একটি সাধারণ ফোকাস পয়েন্ট থাকায় অক্ষমতা গড়ে তোলে।
According to Dr. Samar Sengupta, Consultant – Ophthalmologist, Dr. Agarwals Eye Hospitals, Kolkata, ‘রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি হল দেশে সব বয়সের মানুষের দৃষ্টিসংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত সমস্যা। বংশগত (বয়স, পারিবারিক ইতিহাস ও জাতিত্ব) এবং পরিবেশগত কারণ (অতিরিক্ত কাছে-কাজ, কম আলোয় পড়া, বাইরের সময় হ্রাস, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব এবং অসম খাদ্য) চোখের ক্ষতি করে। অন্যান্য উপাদান যেমন অতিরিক্ত চোখ ঘসা, অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার ও টোসিসও অভিঘাত সৃষ্টি করে।’
Dr. Samar Sengupta যোগ করেন, ‘গত কয়েক বছরে, প্রায় 200 মানুষ ডিসেম্বরে রিপোর্ট করেছে পড়তে অসুবিধার, হয়তো এর কারণ বেশ কয়েকদিন ছুটি ও বাচ্চাদের শীতকালীন ছুটি। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ বাস করে মেট্রোপলিটন শহরে যার মধ্যে 60 শতাংশ হল 7 থেকে 35 বছর বয়সি পুরুষ।’
রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি সংশোধনের ব্যাপারে Dr. Samar Sengupta পরামর্শ দিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি বিচার, মূল্যায়ন ও পরিচালনা করা উচিত অবস্থার তীব্রতা অনুযায়ী। যাদের সামান্য অ্যাসিম্পটমিক রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি আছে তারা চিকিৎসা না করেই চলতে পারেন। যদিও, সিম্পটমিক রোগীদের চশমা, কনট্যাক্ট লেন্স, রিফ্র্যাক্টিভ সার্জারি বা এই তিনটিই করতে হতে পারে। এই সমস্যার সামগ্রিক অভিঘাত খুবই বিশাল এটা বিবেচনা করা জরুরি, এবং এটা বলা বাহুল্য যে দৃষ্টিশক্তিতে অস্বচ্ছতা অথবা এমনকি কখনো সম্পূর্ণ অন্ধত্ব এড়াতে রিফ্র্যাক্টিভ সেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’
বছরের পর বছর রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি 8-10 শতাংশ করে বাড়ছে। আমরা এই সমস্যা সামলানোর চেষ্টা করতে পারি নিয়মিত চোখ পরীক্ষা, সীমাবদ্ধ স্ক্রিন টাইম, প্রস্তাবিত চশমা পরা, 20 20 20 অনুশীলন (স্ক্রিন-টাইমের প্রতি 20 মিনিট পর আপনাকে 20 ফুট দূরের কোনো বস্তুর দিকে তাকাতে হবে 20 সেকেন্ড ধরে) এবং স্বাস্থ্যকর সুষম আহার গ্রহণ করে। এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য কার্যকরী চিকিৎসার সহজলভ্যতা সত্ত্বেও অসংশোধিত রিফ্র্যাক্টিভ ত্রুটি জনগণের অবহেলার কারণে একটি জন স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ রোগীর বয়সের ওপর নির্ভর করে।
শেষে Dr. Samar Sengupta বলেছেন, ‘যদি রোগীর বয়স হয় 18 বছরের কম, চশমা প্রেসক্রাইব করা হয়। যদি বয়স হয় 18 থেকে 40 বছরের মধ্যে, তখন রোগী রিফ্র্যাক্টিভ সার্জারির পরিকল্পনা করতে পারে। যত রকম রিফ্র্যাক্টিভ প্রণালি লভ্য, তার মধ্যে স্মাইল (স্মল ইনসিশন লেন্টিকিউল এক্সট্রাকশন) হল একটি পূর্ণাঙ্গ লেজার প্রণালি যাতে সবচেয়ে ভালো অপারেশন-উত্তর ফলাফল ও দ্রুততর উপশম প্রক্রিয়া পাওয়া যায়।’
ড. আগরওয়াল আই হসপিটাল সম্পর্কে :
ড. আগরওয়াল’স আই হসপিটালের ১০০ হসপিটাল বর্তমানে ছড়িয়ে রয়েছে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, আন্দামান, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে। চেন্নাইয়ের ফ্ল্যাগশিপ সেন্টার বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চক্ষু-পরিচর্যা কেন্দ্র, ভারত ও বিদেশের রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছে। চেন্নাই মেইন হসপিটালে এইসঙ্গে গবেষণা ও বিদ্যায়তনিক কর্মসূচি চলে, সবচেয়ে অভিজ্ঞ সার্জনের থেকে ডাক্তাররা শিখতে পারেন। এই গ্রুপের আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ শুরু হয়েছিল মরিশাসে মাত্র একটি হাসপাতাল দিয়ে, কিন্তু আজ ড. আগরওয়াল’স আই হসপিটালের উপস্থিতি রয়েছেআফ্রিকার ১১ দেশে।
ওয়েবসাইট: https://www.dragarwal.com/
Be First to Comment