Press "Enter" to skip to content

রাজেন তরফদারের গঙ্গা ১৯৬১ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নিয়েছিল। এছাড়া শ্রেষ্ঠ বাংলা কাহিনিচিত্র হিসাবে ছবিটি ১৯৬০ সালে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে।

Spread the love

জন্মদিনে স্মরণঃ রাজেন তরফদার

বাবলু ভট্টাচার্য : বাংলা ছবির সেই নতুন সময়ে সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, তপন সিনহা-র পাশে আজও উচ্চারিত হয় যার নাম, তিনি রাজেন তরফদার। কেবল মাত্র পরিচালনার জন্য মানুষ তাকে মনে রাখেনি, তার চেয়ে বেশি তার বিচিত্র বিষয় নিয়ে ছবি করার জন্য।

সমরেশ বসুর কলম থেকে জেলেদের জীবন, আত্মহত্যা- প্রবণ এক বৃদ্ধকে জীবনে টেনে আনার গল্প কিংবা একটি পালঙ্ককে ঘিরে টানাপড়েন। অথচ বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে রাজেন তরফদার সে ভাবে আলোচিতও হননি।

তার সহযাত্রীদের প্রত্যেকেই যখন চুটিয়ে কাজ করছেন তখন তিনিই শুধু বেকার। ১৯৫৭ থেকে ১৯৮৭ তিন দশকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন মাত্র ৭টি- ‘অন্তরীক্ষ’, ‘গঙ্গা’, ‘অগ্নিশিখা’, ‘জীবনকাহিনী’, ‘আকাশছোঁয়া’, ‘পালঙ্ক’ আর ‘নাগপাশ’।

কিন্তু এক ‘গঙ্গা’ আর ‘পালঙ্ক’ ছাড়া তার বেশির ভাগ ছবিই আজ জনতার বিস্মৃতির অতলে।

রাজেন তরফদার ১৯৪০-এ গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করে কর্মজীবন শুরু করেন ডে ওয়াল্টার টমসন-এ। বিজ্ঞাপন-জগৎ থেকেই সিনেমার জগতে আসা, ১৯৫৭-য়। তখন থেকেই সর্বক্ষণের চলচ্চিত্রকার-জীবন শুরু। শুধু পরিচালনাই নয়, অভিনয়ও করেছেন মৃণাল সেনের ‘আকালের সন্ধানে’ ও ‘খণ্ডহর’, শ্যাম বেনেগালের ‘আরোহণ’ আর শেখর চট্টোপাধ্যায়ের ‘বসুন্ধরা’য়।

রাজেন তরফদারের গঙ্গা ১৯৬১ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নিয়েছিল। এছাড়া শ্রেষ্ঠ বাংলা কাহিনিচিত্র হিসাবে ছবিটি ১৯৬০ সালে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে।

১৯৭৫ সালে পালঙ্ক শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে।

২৩ নভেম্বর ১৯৮৭, ৭০ বছর বয়সে এই মহান চলচ্চিত্র পরিচালক মৃত্যুবরণ করেন।

রাজেন তরফদার ১৯১৭ সালের আজকের দিনে (৭ জুন) বাংলাদেশের রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.