জন্মদিনে স্মরণঃ যতীন্দ্রমোহন বাগচী
“বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?” ------- যতীন্দ্রমোহন বাগচী
বাবলু ভট্টাচার্য : বাংলা সাহিত্যে কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর এই দু’টি চরণ অমর হয়ে আছে।
রবীন্দ্র যুগে জন্মগ্রহণ করেও অল্প যে ক’জন কবি নিজস্ব প্রতিভার সাক্ষর রাখতে পেরেছেন বাগচী তাদের অন্যতম। ১৮৯৮ সালে ‘সাহিত্য’ পত্রিকায় বাগচীর কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয়।

তাঁর পৈতৃক নিবাস বলাগড় গ্রাম, হুগলী। তিনি তাঁর প্রথম ডিগ্রি কলকাতার ডাফ কলেজ (এখন স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে নিয়েছিলেন।
তিনি সারদাচরণ মিত্রের প্রাইভেট সেক্রেটারিরূপে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে কলকাতা কর্পোরেশনে নাটোর মহারাজের প্রাইভেট সেক্রেটারি ও জমিদারির সুপারিনটেন্ডেন্ট পদে এবং কর কোম্পানি ও এফ.এন গুপ্ত কোম্পানীর ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন।
তিনি বহু সাহিত্যিক পত্রিকায় গঠনমূলক অবদান রেখেছেন। ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ পর্যন্ত ‘মানসী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯২১-২২ সালে তিনি ‘যমুনা’ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।
বাগচী ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ ‘পূর্বাচল’ পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদক ছিলেন। তাঁর রচনায় তাঁর সমকালীন রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রভাব লক্ষ্য করে যায়। তাঁকে রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করে হয়।
যতীন্দ্রমোহন বাগচি ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন।

তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহের মধ্যে আছেঃ লেখা, রেখা, অপরাজিতা, বন্ধুর দান, জাগরণী, নীহারিকা, মহাভারতী, কাব্যমালঞ্চ, নাগকেশর, পাঞ্চজন্য, পথের সাথী প্রভৃতি।
যতীন্দ্রমোহন বাগচী ১৮৭৮ সালের আজকের দিনে (২৭ নভেম্বর) নদীয়া জেলার জমশেরপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

Be First to Comment