সরস্বতী পূজা প্রসঙ্গে :—-
মতিলাল পটুয়া : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। বাঙালির বার মাসে তের পার্বন বলে একটা কথা প্রচলিত আছে । এটা নুতন কিছু নয় । বাঙালিররা পুজোর নামে আনন্দে , উৎসবে হৈ চৈ করে কাটাতে ভালো বাসে। তবে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা, শিক্ষক শিক্ষিকারা সরস্বতী পুজোর কাজে লিপ্ত হয়ে আনন্দ পায় বেশি। এই পুজো উপলক্ষে কোথাও কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি,গান, নাটক পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এই পুজোর অন্তরালে একটি ব্যবসায়িক দিকও আছে। প্রতিমা তৈরির কাজ করেন যারা, প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম জোগান দেন যারা , খাদ্য খাবার ও পোশাক বিক্রি করেন যারা , তারা প্রত্যেকেই এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন। বেচা কেনার মধ্যে দিয়ে
তাদের স্বপ্ন ও ইচ্ছার পরিপূর্ণতা ঘটে থাকে।
সর্বশ্রেণীর মানুষজন পুজোর সময় নুতন পোশাক পরিচ্ছদ ও মুখরোচক খাদ্য খাবারের আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে।
কিন্তু কিছু অসহায় মুখের খবর সব সময় অন্তরালেই থেকে যায় — যেন নীরবে নিভৃতে কাঁদে ।
আনন্দের মাঝে কান্না ! এ কেমন খেলা …… ।
আমরা কি এদের জন্য কিছু করতে পারিনা!
ওই সব নিপীড়িত শোষিত মানুষজনের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারি না সাহায্যের এতটুকু হাত। যে হাত বাড়ালে আরো কিছু অসহায় মানুষের মুখে, পিছিয়ে পড়া মানুষের মুখে ফুটে উঠবে হাসির জোয়ার।
এটুকু করতে না পারলে বড় বড় পুঁথি পড়ে কি শিক্ষা আমরা পেলাম । যে শিক্ষায় সহানুভূতি নেই , সহমর্মিতা নেই , সমব্যথা নেই ,মানবতা নেই , নৈতিকতা নেই কি প্রয়োজন সেই শিক্ষার ।
এহেন শিক্ষায় বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আদৌ প্রয়োজন আছে কি ?
Be First to Comment