Press "Enter" to skip to content

ম্যাজিকের অনুষ্ঠানের ফাঁকে, একটু সময় বের করে, যদি আপনাদের হাত ধরে টেনে তুলে আবার নতুন উদ্যমে যদি কাজ করাতে পারি, তো সেটা হবে আমার সেরা ম্যাজিক……।

Spread the love

[প্রদীপের সঙ্গে আলাপ= প্রলাপ] (পর্ব=০৮৫) ] ——————–From the Desk of——————
Magician, Psychologist P. C. Sorcar Junior
Dr. Prodip Chandra Sorcar, M.Sc., Ph.D.
____________________________________________

*****এ লড়াই জিততে হবে*****

কলকাতা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১। প্রকৃতি বা সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ট ‘নির্মান হচ্ছে ‘মানুষ’। এতো সূক্ষ্ম, কঠিন, জটপাকানো মেকানিক্যাল, কেমিক্যাল, সাইকোলজিক্যাল, ঈশ্বরে বিশ্বাসী অথবা অবিশ্বাসী, জীবন্ত মেশিন, যে নাকি চিন্তা করে, আবিষ্কার করে, কল্পনা-প্রবণ কবি , সাহিত্যিক, শিল্প-প্রেমী, নিজের সন্তানকে ‘মানুষ’ করে গড়ে তুলে আরও ‘উন্নত’ বানাতে সচেষ্ট… সেই আবার সৃষ্টিকর্তাকে চ্যালেঞ্জ করে, মারামারি , শিল্প ধ্বংস…এবং বিচিত্র অ-মানবিক আচরণ করে…..যেগুলো নিজে সাক্ষী না থাকলে, সব ‘মিথ্যে-কথা’ বলে মনে হতো। …. এতোই জটিল।

এই জটিল যন্ত্রটা যখন কেউ প্রথম ‘তৈরি’ করছিলেন, তখন তার উপাদান গুলো, গাড়ির যন্ত্রাংশের মতো কোনও দোকান থেকে কিনে আনেন নি। নিজেই বানিয়ে, বা গড়ে, গজিয়ে নিয়ে জুড়ে দিয়েছিলেন। পুরনো মডেলের খামতি বা ডিফেক্টগুলোকে শুধরে নতুন মডেল বানাচ্ছিলেন। এই ভাবেই উন্নতি ঘটেছে বা ঘটে ।

এই নতুন মডেল বানাবার সময় তাঁর পাশে কোনও, ডাক্তার, হাসপাতাল ছিলো না। ছিলো না কোনও সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, ICU. কিন্তু মজুত রেখেছিলেন এক বিশাল প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং নিজস্ব ওস্তাদ কারিগরের দল,আর গঠনের ফরমুলা। বাইরের থেকে যদি কিছুর প্রয়োজন হয়, তাহলে নিজস্ব পদ্ধতিতে শরীরের সেন্ট্রাল কন্ট্রোলে, মস্তিষ্কে খবর দেন। সেই অনুযায়ী মস্তিষ্ক সৈন্য -সাহায্য, রসদ, উপায় ইত্যাদি হিসেব করে, প্রয়োজন মতো সংগ্রহ করতে অ্যাকশন নেন।
—-তাঁরা কোথায় থাকেন?
—-না, তাঁরা থাকেন, কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় নয়। তাঁরা ছড়িয়ে আছে শরীরের সর্বত্র। রোগের মোকাবিলা করবার জন্য সদা সর্বদা প্রস্তুত।

কোনও জায়গা কেটে গেলে, শরীর নিজের থেকেই সেটা জুড়ে, রিপেয়ার করে। বাইরের থেকে কারও ক্ষমতা নেই সেই ক্ষতটা সারাবার। বিজ্ঞান শিখেছে সেলাই করে জায়গাটা জায়গা মতো টেনে ধরে রাখতে। ওষুধ দিই, বাইরের শত্রুকে ওই কাটা জায়গা দিয়ে প্রবেশ করতে বাধা দিতে। যেন, খোলা দরজাটা পাহারা দিচ্ছে। চারপাশের দূষণ থেকে রক্ষা করতে ব্যাণ্ডেজ ইত্যাদির প্রয়োজন। প্লাস্টারের প্রয়োজন হয়, শক্ত খোলস দিয়ে ঢেকে হাড়ের ক্ষত যেন বিচ্যুত না হয়, নড়ে না যায়, সেটা দেখতে। আর ওদিকে, ভেতরে, প্রাকৃতিক জাদু-ডাক্তার, যিনি আমাদের ভেতরেই বসবাস করেন, তিনি আপনমনে, নিজে নিজেই সাড়িয়ে তোলার জন্য নতুন কোষ সৃষ্টি করেন। তারই ফরমাস মতো বাইরে থেকে ,খাবারের মাধ্যমে, রসদ জোগান দিই।

অন্তস্থ প্রাকৃতিক ডাক্তার, স–ব ক্ষত সাড়াতে পারেন। তাঁকে শুধু নির্বিঘ্নে কাজ করতে দিতে হবে। তাঁকে উৎসাহ দিতে হবে। তাঁর আদেশ, অক্ষরে অক্ষরে শুনে মানতে হবে।

এই নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়াতে বাধা অনেক। সামাজিক বাধা, সাংসারিক বাধা, অর্থনৈতিক বাধা তো আছেই, সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে মানসিক বাধা। আত্মবিশ্বাসে বাধা। সেই বাধা, অন্তস্থ প্রাকৃতিক চিকিৎসককে কাজ করতে দেয় না। এলোমেলো করে দেয়।

সেই এলোমেলো করতে দেওয়াটা রুখতে, কাউন্সেলিং এবং কনসালটেন্সি হচ্ছে সবচেয়ে বড় উপায়। প্রাচীন মুনি- ঋষিদের আয়ুর্বেদ থেকে শুরু করে আধুনিকতম চিকিৎসকেরা, এই কথাই বলে আসছেন, বলছেন।

আমি জাদুকর। মানুষের মনোরঞ্জন করাটাই আমার শিক্ষা, ধর্ম, কর্ম, পরিচয় এবং জীবিকা। মানুষের মন যদি কষ্টে থাকে, তো মনোরঞ্জন করবো কাকে? তাঁকে সুখে রাখা আমার দায়িত্ব। আমি একজন প্রাতিষ্ঠানিক, অভিজ্ঞ মনোবৈজ্ঞানিক। এই অতিমারির পরিবেশে মানুষ সব দিক দিয়েই অল্প-বিস্তর দিশেহারা হয়ে আছেন, মনের জোর হারাচ্ছেন। ফলে কর্ম-বিমুখতা, কল্পনার ক্ষয়, স্বপ্নের , আত্মবিশ্বাসের বিলোপ, ইত্যাদি হওয়া শুরু হয়েছে।

আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি। সবাইকে না হলেও, কিছু মানুষকে তো বটেই। মানূষের শান্তির দিক নির্ণয় করতে আমি অভ্যস্ত। ম্যাজিকের অনুষ্ঠানের ফাঁকে, একটু সময় বের করে, যদি আপনাদের হাত ধরে টেনে তুলে আবার নতুন উদ্যমে যদি কাজ করাতে পারি, তো সেটা হবে আমার সেরা ম্যাজিক।
আমার জন্ম, কর্ম সার্থক হবে। ইতি
বঙ্গ জীবনের অঙ্গ

“প্রদীপ”
Dr. প্রদীপ চন্দ্র সরকার, M. Sc., Ph. D.
মঞ্চ-মায়াবী, মনোবিজ্ঞানী পি সি সরকার জুনিয়র
জয় হিন্দ।

More from HealthMore posts in Health »
More from SocialMore posts in Social »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.