গোপাল দেবনাথ : মেদিনীপুর : যথোচিত মর্যাদায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন উদ্যাপিত হল শতাব্দী প্রাচীন হেরিটেজ প্রতিষ্ঠান মেদিনীপুর টাউন স্কুলে। গত ২৩ জানুয়ারি সকালে প্রারম্ভিক বক্তব্যে শিক্ষিকা অনামিকা তেওয়ারী অনুষ্ঠানের নান্দিমুখ রচনা করেন। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা রাষ্ট্রপতি-পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক ডঃ বিবেকানন্দ চক্রবর্তী। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন শিক্ষক জহরলাল পইড়্যা। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সহ বিদ্যালয়ের চারজন শহীদ ছাত্র ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো-র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মিবৃন্দ, বৃত্তিমূলক শাখার শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, নৈমিত্তিক কর্মিগণ। পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয় বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত শহীদ বেদীতে এবং বল্লভপুরে অবস্থিত শহীদ ব্রজকিশোর চক্রবর্তী-র শহীদ বেদীতে। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দ মধুরকণ্ঠে সমবেতভাবে পরিবেশন করেন ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’ এই গানটি।

‘রবীন্দ্রনাথ ও সুভাষচন্দ্র’ এই বিষয়ে আলোকপাত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক ডঃ চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে দেশনায়ক সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্ক এবং জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে উভয়ের মত ও পথ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষিকা মন্দিরা খান্ডা, মীরা পাল ও শিক্ষক সন্দীপ পান্ডা। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক জহরলাল পইড়্যা, শিক্ষক নিখিল কুমার পাত্র ও শিক্ষিকা মীরা পাল। সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরা খান্ডা, মিঠু পাহাড়ী, মিঠু রানী মূর্মূ, মিতালী দাস, মীরা পাল ও পৃথা কুন্ডু। সবশেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি সূচিত হয়। সুন্দর ও আকর্ষণীয় সঞ্চালনায় সকলকে মুগ্ধ করেন শিক্ষিকা অনামিকা তেওয়ারী।
Be First to Comment