জন্মদিনে স্মরণঃ শু ভে ন্দু চ ট্টো পা ধ্যা য়
বাবলু ভট্টাচার্য : সন্তান যদি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারে, তাহলে আর পড়াশোনা করে কী লাভ! অনেক বাবা-মায়ের লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার জোগাড়। ঠিক এমন অবস্থাতেই বিশ শতকের ছয়ের দশকে ডাক্তারি পেশাকে সারাজীবনের জন্য বিসর্জন দিয়ে অভিনয়ের জগতে চলে আসা মানুষটির নাম শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়।

ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করলেও রূপোলি পর্দার প্রতি তাঁর টান ছোটো থেকেই।
শুভেন্দু’র বাবা ছিলেন শৈলেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মা মনিমালা দেবী। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ছিলেন অসাধারণ মেধাবী।

শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ১৯৫৩ সালে ভর্তি হন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা। ১৯৬০ সালে পাশ করেন এমবিবিএস। প্রথমে সিভিল ডিফেন্সে তারপর কলকাতা পুরসভায় যোগ দেন কর্মসূত্রে। ডাক্তারির জীবন ছেড়ে তিনি চলে এসেছিলেন রুপোলি পর্দার টানে।
অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে গণনাট্য সংঘের সাথে যুক্ত ছিলেন। বাংলা ছবির পাশাপাশি হিন্দি ছবিতে, পেশাদার মঞ্চে, দুরদর্শন ধারাবাহিকে এবং যাত্রায় অভিনয় করেছেন। অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় তার পুত্র।

মৃণাল সেন পরিচালিত ‘আকাশ কুসুম’ (১৯৬৫) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ ঘটে শুভেন্দু বাবুর। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে তিনি দুশোটির বেশি ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন।
যে সব চলচ্চিত্রকারদের ছবিতে অভিনয় করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা, অজয় কর, সলিল সেন, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, অগ্রদূত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত প্রমুখ।
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল : ‘আকাশ কুসুম’, ‘কাঁচ কাটা হীরে’, ‘চিড়িয়াখানা’, ‘চৌরঙ্গী’, ‘হংস মিথুন’, ‘আরোগ্য নিকেতন’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘প্রথম কদম ফুল’, ‘ছদ্মবেশী’, ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’ ইত্যাদি।
৫ জুলাই ২০০৭ সালে শুভেন্দু চ্যাটার্জি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
শুভেন্দু চ্যাটার্জি ১৯৩৬ সালের আজকের দিনে (২৯ নভেম্বর) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment