Press "Enter" to skip to content

মধ্য কলকাতার টাকি বিদ্যালয়ে মহাসমারোহে পালিত হলো ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস….।

Spread the love

পারিজাত মোল্লা : কলকাতা, ১৬ আগস্ট, ২০২৩।পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে ভারতের বুকে। সেইসব শহীদদের স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশজুড়ে পালিত হলো ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস।মঙ্গলবার সকালে শিয়ালদহ সংলগ্ন টাকি গার্লস এবং বয়েজ স্কুলে মহাসমারোহে পালিত হলো স্বাধীনতা দিবস।দেশাত্মবোধক গান থেকে আবৃত্তি, যোগাসন থেকে বক্তব্য পেশ সব কিছুই হলো বর্ণাঢ্যভাবে। টাকি গার্লস প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুনীতা দাশগুপ্তর পরিচালনায় শতাধিক ক্ষুদে পড়ুয়াদের স্বাধীনতা দিবসে অংশগ্রহণ এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। কলকাতার ১৭ নং চক্রের স্কুল পরিদর্শক সমীর মজুমদার প্রধান অতিথি হিসাবে প্রাথমিক স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পুরোটাতেই ক্ষুদে পড়ুয়াদের দাপট চোখে পড়ার মত। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনে শ্রুতি রায়, এষনা সিংহ, ঐশী কুন্ডু, আরাধ্যা চক্রবর্তী প্রমুখ অংশগ্রহণ করে থাকে। এরপর আবৃত্তিতে অরিত্রিকা দাস, রিয়া কৈরালা, ঐশ্বর্য দাসদের উপস্থাপন নজরকাড়া। নৃত্য পরিবেশনে প্রিয়াঙ্কা দাস,সন্দীপ্তা পাইন, হিমাশ্রী পাল, শ্রুতি দাস প্রমুখ সাবলীলভাবে অংশগ্রহণ করে শতাধিক অভিভাবক সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষিকা – অশিক্ষক কর্মীদের সামনে। বিভিন্ন আসন পরিবেশনে দেখা যায় সৃজিতা সাহা – মঞ্জুশ্রী দত্তদের কে। টাকি গার্লস প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুনীতা দাশগুপ্ত উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান -” স্বাধীনতা দিবসে অংশগ্রহণ করতে ক্ষুদে পড়ুয়াদের আগ্রহ যথেষ্ট সাধুবাদ যোগ্য, সঙ্গীত পরিবেশন থেকে আবৃত্তি, যোগাসন থেকে নৃত্য পরিবেশনে ওরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে”। স্কুল পরিদর্শক সমীর মজুমদার বলেন -” এই বিদ্যালয়ের প্রায়শই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগে”। অপরদিকে শিয়ালদহ সংলগ্ন টাকি বয়েজ স্কুলের মাঠে মহাসমারোহে পালিত হলো ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস। শত শত পড়ুয়া সহ অভিভাবকদের উপস্থিতিতে চলে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। টাকি বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা বসাক, সহকারী প্রধান শিক্ষক অমিত কুমার গঙ্গোপাধ্যায় সহ অন্যান্য শিক্ষক – শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতেস্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে বক্তব্য পেশ, দেশাত্মবোধক গান চলে দুপুর অবধি। টাকি বয়েজ এবং গার্লস স্কুল পঠন পাঠনে, ক্রীড়া – সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কলকাতা সহ রাজ্যে বিশেষ স্থান করে রয়েছে। শুধু পড়াশোনা নয়, সামগ্রিকভাবে পড়ুয়াদের বিকাশে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকবর্গ নিরলসভাবে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে চলেছেন বলে অভিভাবকগণ জানিয়েছেন।

More from CultureMore posts in Culture »
More from EducationMore posts in Education »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.