Press "Enter" to skip to content

ভারতের সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলির ১২লাখ এজেন্ট করোনা পরিস্থিতিতে সংকটের সমাধান চাইতে চিঠি লিখলেন আই আর ডি এ আই এর চেয়ারম্যানকে

Spread the love

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: কলকাতা, ৫এপ্রিল ২০২০ যত দিন যাচ্ছে, বিশ্ব জুড়ে করোনা অতিমারীর আতঙ্ক গ্রাস করছে। ভারতের অবস্থা এখনও তেমন ভীতিজনক না হলেও লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। ভারতের অর্থনীতি এমনিতেই ধসে পড়েছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়া এই করোনা ভাইরাস। মার্চ মাস ছিল আর্থিক বছরের শেষ সময়। কিন্তু প্রথম সপ্তাহ থেকেই অশনি সংকেত ছিল। লগ ডাউনে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। দেশের খেটে খাওয়া মানুষদের মত সমস্যার শিকার হয়েছেন দেশের চারটি বীমা সংস্থার ১২ লক্ষ বীমা এজেন্টরা। এই চারটি সংস্থা হলো দি নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এবং ওরিয়েন্টাল ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড। এই চারটি সংস্থার মোট ১২ লক্ষ এজেন্ট ইউনিয়নের সভাপতি মানস ঢাল, কার্যকরী সভাপতি অরূপ মুখার্জি, স্নেহা রঞ্জন শ্রীবাস্তব, প্রকাশ নান্ডগেভ এবং সাধারণ সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত ২ এপ্রিল আই আর ডি এ আই এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুভাষ চন্দ্র খুন্টিয়াকে মেল মারফত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চার সংস্থার ইউনিয়ন নেতৃত্ব মেলে লিখেছেন, পৃথিবী জুড়ে করোনা ত্রাস আজ অতিমারী হয়ে দেখা দিয়েছে। বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। আমাদের দেশেও করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে মানুষের মনে। দেশের আর্থিক বিকাশ থমকে গেছে। আমাদের চারটি বীমা সংস্থার ১২ লক্ষ এজেন্ট আজ ঘোরতর সমস্যায়। দেশের অধিকাংশ মানুষের হাতে নেই বাড়তি টাকা। যা দিয়ে এই আপৎকালীন সময়ে লড়বেন। আমরা তাই এই পাবলিক সেক্টরের সর্বোচ্চ পদে আসীন আপনার কাছে বিনীত নিবেদন করছি, এই পরিস্থিতিতে কোনো বীমাএজেন্ট অফিসে যেতে পারছেন না। এদিকে কাজে যেতে না পারলে মাসের শেষে কমিশন বাবদ অর্থ পাওয়া যাবে না। আমরা না পারছি প্রিমিয়ামের টাকা আদায় করতে, না পারছি নতুন ব্যবসা জমা করতে। আমাদের গ্রাহকেরা সমস্যায় পড়ে টাকা দিতে পারছেন না। আমরাও তাই এপ্রিল, মে ও জুন মাসে কমিশন বাবদ অর্থ পাবো না। আমাদের অবস্থা প্রায় রাস্তার ভিখারীর মত। বেঁচে থাকার নূন্যতম চাহিদা মেটাতে আপনার কাছে অনুরোধ, আমাদের জন্য সাহায্যের একটি প্যাকেজ ঘোষণা করুন। গত আর্থিক বছরের প্রাপ্য কমিশনের অন্তত ১০শতাংশ এক্স গ্রাসিয়া দেওয়া হোক।

যাতে আমরা নিজেদের ও পরিবারের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারি। দ্বিতীয়ত, ইতিমধ্যে দেশের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামন এবং মিনিস্টার অফ স্টেট ফাইন্যান্স দফতরের মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর যে ঘোষণা করেছেন, আপৎকালীন জরুরি বিভাগের কর্মীদের জন্য তা বীমা এজেন্টদের জন্যও বলবৎ করে প্রতিটি বীমা এজেন্টদের আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ১৫লাখ টাকার স্বাস্থ্যবীমার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হোক। আমাদের আর্থিক দুরবস্থার সমাধান আপনিই করতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য প্রিমিয়াম ইনসেনটিভ এর জন্য একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিন। যার ফলে বিশাল সংখ্যক বীমা এজেন্ট উপকৃত হবেন। অনুরোধ, মাসিক আদায়ী কৃত প্রিমিয়াম নির্ভর ইনটেনসিভ ধার্য্য করবেন না। মহাশয়, আপনি এই সংস্থাগুলির সর্বোচ্চ প্রধান। আমাদের করুণ অবস্থার কথা বিবেচনা করে বীমাএজেন্ট ও তাদের পরিবারকে অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি দেবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ওপর ১২ লাখ বীমা এজেন্ট ও তাদের পরিবারের জীবন মরণ নির্ভর করছে। শেষ মুহূর্তের খবর, বিভাগীয় প্রধান মেলের প্রাপ্তি স্বীকার করলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *