নিউজ স্টারডম : ২৩ মে ২০২১। স্নেহা পার্থিবরাজ। বয়স পঁয়ত্রিশ। পেশায় আইনজীবি এই ভদ্রমহিলার বাড়ি তামিলনাড়ুর তিরুপাত্তুর। ইনি এর মধ্যেই ব্যতিক্রমী এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কাণ্ড বললেও অবশ্য কম বলা হবে, বলা উচিত বিপ্লব। হ্যাঁ, নি:শব্দ বিপ্লবই ঘটিয়েছেন ইনি। তাও আবার ভারতের মতো ধর্ম ও বর্ণে শতবিভক্ত একটি দেশে। ইনি যা করতে চেয়েছেন,করেওছেন তা খবরের কাগজগুলিতে আলোচনার বিষয় হতে পারত। কিন্তু হয়নি। কেন হয়নি? কীই-বা এমন করেছেন তিনি? ইনিই ভারতের প্রথম মহিলা যাঁর কোনো ধর্ম নেই এবং বর্ণও নেই। এই স্বীকৃতি তিনি আদায় করেছেন দীর্ঘ লড়াইয়ের পর খোদ তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু কীভাবে? স্কুল জীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্তরে ধর্ম ও বর্ণের ঘরটা ফাঁকা রাখতেন। পরবর্তীকালে ২০১০ সাল নাগাদ তিনি আইনি লড়াই শুরু করেন। পাশে পেয়ে যান তাঁর স্বামী কে পার্থিবরাজকেও। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মেলে স্বীকৃতিও। স্বয়ং তামিলনাড়ু সরকার গত ফেব্রুয়ারিতেই স্নেহা পার্থিবরাজকে সনদ পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, এবার থেকে স্নেহা নিজেকে ধর্মহীন এবং বর্ণহীন মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে। সরকার একই সঙ্গে জানিয়ে দেয়, এখন থেকে স্নেহার একমাত্র পরিচয়, তিনি ভারতীয়।
Be First to Comment