Press "Enter" to skip to content

“বৈঁচি ফল” জন্ডিস, দাঁতের গোড়া ফোলা, বাত, নিমোনিয়া, ডায়রিয়া, কাশি, হজম শক্তি বাড়াতে ও লিভারের রোগে বিশেষ উপকারী……..

Spread the love

বৈঁচি ফল —–

সুস্মিতা দাস : কলকাতা, ১২, সেপ্টেম্বর, ২০২০। বাংলার লুপ্ত প্রায় ফলের মধ্যে বৈঁচি ফলের নাম প্রথম সারিতে রাখা যায়।

শিব ঠাকুরের গলায়দোলে বৈঁচি ফলের মালিকা —

গানের মধ্যেও এই ফলের উল্লেখ আছে। এক সময় গ্রাম বাংলায় বাচ্চারা এই ফলের মালা বানিয়ে গলায় পরতো। আর খেলার মাঝে সেই মালা থেকে এই ফল ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেত। তবে এখনকার বাচ্চারা আগের মতো খেলার সুযোগ পায় না আর এই ফলের সন্ধানও পায়না। আমাদের গ্রামের অতিপরিচিত এই বৈঁচি ফল আজ লুপ্ত প্রায়। এই ফল নিয়ে আমার জানা কিছু তথ্য সবার সাথে ভাগ করে নেয়ার আগে সকলের কাছে অনুরোধ আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য সম্ভব হলে এই গাছকে বাঁচিয়ে রাখুন।

বৈঁচি ফল সম্পর্কেকিছু তথ্য

এটি একটি গুল্ম জাতিয়, ঝোপঝাড় বিশিষ্ট উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Falacourtia Ramontchi. এশিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও শীতকালীন অঞ্চলে ফুলের উদ্ভিদ। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক জায়গায় এ ফলগাছ জন্মায়।অঞ্চল ভিত্তিক এই ফল বুঁজ, ডুংখির, কাটা বহরি নামেও পরিচিত। এর গাছ ২৫ ফুট পর্যন্ত উচ্চতা হতে পারে। বৈঁচি ফুল আকারে ছোট ও পীত বর্নের হয়। পাঁচ পাপড়ি যুক্ত ছোট স্ত্রী ও পুরুষ ফুল গুলো আলাদা আলাদা গাছে ফোটে। শীতের শেষে বৈঁচি গাছে ফল হয় এবং পাকতে শুরু করে এপ্রিল- জুন মাসে। ফলের শাঁস নরম ও সাদাটে রঙের হয়। কাঁচা ফল গোলাকার, সবুজ ও পাকলে গাঢ় বেগুনি বর্নের হয়।

পুষ্টিগুন —–

অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের সাথে সাথে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে।

উপকারিতা —–

পাতা ও শিকড় ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও জন্ডিস, দাঁতের গোড়া ফোলা, বাত, নিমোনিয়া, ডায়রিয়া, কাশি, হজম শক্তি বাড়াতে ও লিভারের রোগে উপকারী। এ ছাড়াও বৈঁচি ফল দিয়ে জ্যাম-জেলি তৈরী করা হয়।

ছবি ~ গুগল থেকে সংগ্রহ করা।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *