কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা আজ
“এসো মা লক্ষ্মী বস ঘরে
আমারি ঘরে থাক আলো করে…”
বাবলু ভট্টাচার্য / গোপাল দেবনাথ : সৌভাগ্য ও ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী। দুর্গাপূজার পরেই অনুষ্ঠিত হয় লক্ষ্মীপূজা। অর্থাৎ শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে এই পূজা হয়ে থাকে।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে ভক্তগৃহে পূজা নিতে আসেন। মা লক্ষ্মীর আরাধনায় সেজে ওঠে বাঙালি হিন্দুদের গৃহকোণ। মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙিনায় আজকের দিনে শোভা পাবে চালের গুঁড়োর আলপনায় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ।
অন্নপূর্ণার আলতা রাঙা পায়ের চিহ্ন আঁকা হচ্ছে ঘরে ঘরে। এ উপলক্ষে হিন্দু রমণীরা উপবাসব্রত পালন করেন। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রজ্জ্বলন করা হল প্রদীপ। ফুল ফল মিষ্টি নৈবেদ্য দিয়ে আরাধনা করলেন লক্ষ্মী মায়ের। দিলেন পুষ্পাঞ্জলি।
দেবী লক্ষ্মীকে আমরা টাকা পয়সার দেবী হিসেবে জানি, আসলে লক্ষ্মীর পরিচয় শুধু ঐ টুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়। লক্ষ্মী শুধু ধনই দান করেন না, তিনি জ্ঞান ও সচ্চরিত্রও দান করেন।
কথিত আছে লক্ষ্মীপূজা করলে, মানুষ সার্বিক ভাবে সুন্দর ও চরিত্রবান হয়। কেবল টাকা-কড়িই ধন নয়। চরিত্রধন মানুষের মহাধন। যার টাকা-কড়ি নেই সে যেমন লক্ষ্মীহীন, যার চরিত্রধন নেই সে তেমনি লক্ষ্মীছাড়া। যাঁরা সাধক তাঁরা লক্ষ্মীর আরাধনা করেন মুক্তিধন লাভের জন্য। আমাদের এই রাজ্য সহ বিশ্বের নানা প্রান্তের ধর্মপ্রাণ নারীগণ আজকের দিনে মহা ধুমধামের সাথে পালন করলেন সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর।
বলিউড ও টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সিঙ্গাপুরে বন্ধু পারমিতার বাড়িতে মহা ধুমধামের সাথে ভক্তিভরে উদযাপন করলেন এই দিনটিকে। তিনি ফোনে জানালেন আমি সিঙ্গাপুরে থাকলেও কলকাতায় শ্বশুরবাড়ির পূজো খুব মিস করছি। ঋতুপর্ণা বিশ্বের নানা প্রান্তের ভক্তদের মঙ্গল কামনা করলেন।
ছবি সৌজন্যে – ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
Be First to Comment