শম্পা দেবনাথ : ভাগলপুর, বিহার।
লক্ষ্মীমন্ত বা চণ্ডিকা ..
কোনো বিশেষণে আর রাজি নই !
অবলা ….
না, না সেটাও চলবে না!
কিংবা … ঐ যে কখোনো বলো না…
বাঃ! একেবারে দশোভূজা
এবার ছাড়ো তো..!
কি প্রয়োজন বাপু….
এতো বিশেষিত করবার..!
যে দশোভূজা, যে চণ্ডিকা,
যে মা লক্ষ্মী …আর যে অবলা ..
সকলেই যেন বেড়াজালে বন্দী!

যখন তুমি যেমন চাও ,
খড় -মাটির প্রতিমা তো ..
এক রূপেই ধরা দেয়, বাছা!
আমরা তো মানুষী,
রক্ত -মাংস -ঘামে গড়া
নড়ি – চড়ি -কথা বলি..!
তাই প্রেক্ষিত বদলে গেলে…
আমরাও যে বদলে যাই !
তাই চারদিন আগের দশোভূজা
অবস্থার প্রেক্ষিতে ..
অবলা হয়েও ধরা দিতে পারে!
রোজ-রোজ কারই বা
দশোভূজা হতে ভালো লাগে, বলো!
কিংবা রগচটা -জেদী -খড়খড়ে শব্দের
মা চণ্ডিকা …
হঠাৎ যদি মা লক্ষ্মী হয়ে ধরা দেয়
তবে অতোটা অবাক নাই বা হলে… !
আমরা তো জানিই..আমরা মানুষী ,
তোমরা বরং মানুষ হয়ে দেখাও!
এসো! আমরা পথ চলি একসাথে,
যেমনটি চলে বিধাতার সৃষ্ট অন্য প্রানীকূল!
বিশ্ববক্ষ্মান্ডের কোটি কোটি গ্রহ -নক্ষত্রে
কোথায় তুমি ..কোথায় আমি..!
তাই যতদিন মানবজাতি আছে..
এসো না, মানব -মানবী হয়ে বাঁচি!

Be First to Comment