Press "Enter" to skip to content

বার্সেলোনা শহরের সাথে কোথাও আমাদের শহর কলকাতা এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মিল খুঁজে পাওয়া যায়….।

Spread the love

স্পেন থেকে রূপক সাহা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। বার্সেলোনা শহরের সাথে কোথাও আমাদের শহর কলকাতা এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কলকাতার মতো একই ভাবে প্রাণে উচ্ছল এবং ভীষণ ভাবে ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা খাবার দাবার পছন্দ করে প্রত্যেক ইভেন্টের মধ্যে সবাই নিজেদের মধ্যে আড্ডা গল্প খাওয়া দাওয়া একটা বড় রোল প্লে করে যে বিষয় গুলো আমরা বাঙালিদের মধ্যে এবং কলকাতার মধ্যে ভীষণ ভাবে খুঁজে পাই। আর এফ সি বার্সেলোনা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবল ক্লাবের সাথে অনেক জায়গায় ইস্টবেঙ্গল সাথে ভীষণ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যে রকম একটি জাতি গোষ্ঠীকে রিপ্রেসেন্ট করে একটি ড্যাস বোরা কে রিপ্রেসেন্ট করে এফ সি বার্সলোনা ঠিক তেমনি একটি ড্যাস বোরা কে একটি জাতি গোষ্ঠীকে রিপ্রেসেন্ট করে। কাতালান এবং তাদের সন্মান তাদের স্বাধীনতার কথাই যেন মাঠে ফুটিয়ে তোলে এফ সি বার্সেলোনা ভীষণভাবে ফুটবলের মাধ্যমে জাতীয়তা বোধের কথা বলে। এফ সি বার্সেলোনা তাদের যে জাতিগোষ্ঠী কে রিপ্রেসেন্ট করে তাদের কথা বলে এফ সি বার্সেলোনা আর সেই কারণেই ইস্টবেঙ্গল একজন প্রতিনিধি হিসেবে বার্সেলোনা র খেলা দেখতে বার্সেলোনা কে বোঝার জন্য ভালো ফুটবল বোধ তাদের সংগঠন সমস্ত কিছু বোঝার জন্য আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম এফ সি বার্সেলোনা র মাঠে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। অসাধারণ এক অনুভূতি ওদের রং ও লাল হলুদ আর আমাদের রং ও লাল হলুদ জিজ্ঞেস করছিলাম তারা বলছিল লাল হলো লড়াইয়ের প্রতীক আর হলুদ হলো স্বাধীনতার প্রতীক আর মুক্তির প্রতীক।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও কিন্তু এই লড়াইকেই তার সত্ত্বা কে স্বীকার করে নিয়েছে। এই লড়াইকেই সম্বল করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ১৯২০ সন থেকে এখন আমরা ২০২৩ এ দাঁড়িয়ে রয়েছি। তার প্রতিষ্ঠা তার এগিয়ে চলা সমস্ত কিছুর ভিত্তি হলো এই লড়াই। আর সেই লড়াইকেই হয়তো বা বার্সেলোনা রিয়েল মেতিস এর মাঠে আমরা খুঁজে পেয়েছি। প্রায় একলক্ষ র কাছাকাছি দর্শক মাঠে উপস্থিত কিন্তু বিশৃঙ্খলা নেই। শুধু তাদের দলের প্রতি আনুগত্য ভালোবাসা দলের প্রতি সমর্থন অবাক করে দেয়। মাঠে ঢোকার আগে যখন চারিপাশে ঘুরছিলাম একটা বিষয় আমায় ভীষণভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষন করে সমর্থকদের সাথে কথা বলছিলাম আমার ভীষণভাবে হৃদয় কে স্পর্শ করে।

মাঠের চারিপাশে প্রচুর এফ সি বার্সেলোনার নিজস্ব সুভেনিওর স্টোর যেখানে জার্সি ফুটবল ডিফারেন্ট রকম হোম মার্সনটাইজিং প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে এবং প্রত্যেকটি কাউন্টারে বেশ লম্বা লাইন কিন্তু আমি যখন মেট্রো করে গিয়ে মেট্রো স্টেশন বা তার আশেপাশে ছোট ছোট দোকান দেখেছি সেই দোকানেও এই প্রোডাক্ট গুলো ছিল। এবার যে বার্সেলোনার যে অফিসিয়াল শপ সেই খানে প্রত্যেকটি দেওয়া দাম আর ওই মেট্রো স্টেশনের বা রাস্তায় ছোট ছোট দোকানে যে দাম তার মধ্যে বিস্তর ফারাক।


এই ছোট ছোট রাস্তার স্টোর গুলোর দাম এ প্রচুর ফারাক এই ছোট ছোট রাস্তার স্টোর গুলোতে স্টেশন এর ভেন্ডাররা যে গুলো বিক্রি করছেন তার দাম প্রায় ওয়ান ফোর্থ বা ওয়ান ফিফথ তা সত্ত্বেও সেখান থেকে কোনো সমর্থক কিছু কিনছেন না। কিন্তু অফিসিয়াল ক্লাব স্টোর গুলোতে লম্বা লাইন। আমি সমর্থকদের বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম সেমপ্রোডাক্ট অলমোস্ট সেমপ্রোডাক্ট গুলো রাস্তার দোকান থেকে না কিনে কেন এখান থেকে কিনছেন!
বললো আমাদের ক্লাব বার্সেলোনা এই ক্লাবের জয়ের মধ্যদিয়ে আমরা জয় দেখি। আর একটি ভালো দল গঠন করতে গেলে টাকার দরকার। আমি এই প্রোডাক্ট কিনে ক্লাবের পাশে থাকার চেষ্টা করছি ক্লাবের দল গঠনের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমার এতটুকু তে ক্লাবের যদি একটু সাহায্য হয় তাহলে হয়তো বা ফুটবলের প্রতি দায়বদ্ধতা বা এই ক্লাবের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ক্লাবের প্রতি যে প্রেম ভালোবাসা কিছুটা হলেও আমি করতে পারলাম।

আমাকে ভেতর থেকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। অল মোস্ট সেম প্রোডাক্টটি তারা অন্যত্র কিনতে পারতেন টোয়েন্টি পার্সেন্ট বা টোয়েন্টি ফাইভ পার্সেন্ট কম দামে কিন্তু অনেক বেশি দাম দিয়েও তারা অফিসিয়াল স্টোর থেকে কিনছেন শুধুমাত্র ক্লাবের পাশে থাকার জন্য। আর এই ধরণের সমর্থকরা রয়েছেন বলেই এফ সি বার্সেলোনা এফ সি বার্সেলোনা হতে পেরেছে। আমরাও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বেঁচে রয়েছি বাবা লড়াই করছি শুধু মাত্র আমাদের সমর্থকদের জন্য তারাই আমাদের সমস্ত শক্তি। তারা পাশে আছেন বলেই প্রতিদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এগিয়ে যেতে সাহস পায় শক্তি পায়। জয় ইস্টবেঙ্গল।

অনুলিখন- গোপাল দেবনাথ।

More from InternationalMore posts in International »
More from SocialMore posts in Social »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.