নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২২।আবার এসে গেছে শীত। বারো মাসে তেরো পার্বনের বাঙালি , সেই কবে থেকেই আপন করে নিয়েছে পঁচিশে ডিসেম্বর কে। পঁচিশে ডিসেম্বর আম বাঙালির যীশু পুজোর দিন।
বেথেলহেম থেকে কামারপুকুর যদিও বহুদূরের পথ। এবং সময়ের বিচারে দূরত্ব যদিও প্রায় আঠারশ বছর, কিন্তু জীবনধারা ও ভাবধারায় যীশু অবতার ও শ্রীরামকৃষ্ণ-অবতারের মধ্যে এক প্রত্যক্ষ যোগসূত্র সুস্পষ্ট।
১৮৭৩ সালের শেষ ভাগে শ্রীরামকৃষ্ণকে বাইবেল পাঠ করে শোনালে তাঁর খ্রিস্টমতে সাধনা করে সত্য উপলব্ধির ইচ্ছে হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, এই সময় তাঁর চিত্ত খ্রিস্টভাবে পূর্ণ হয়েছিল এবং তিনি কালীঘরে যাওয়া বন্ধ করেছিলেন। এক দিন মেরিমাতার কোলে যীশু খ্রিস্টের চিত্রে তিনি জীবন্ত যীশুর দিব্যদর্শন লাভ করেছিলেন। তাঁর ঘরে হিন্দু দেবদেবীদের সঙ্গে জলমগ্ন পিটারকে ত্রাণরত যীশুর একটি ছবি ছিল, সেটিতে তিনি প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় ধূপারতি করতেন।
আজ এই সময়ে যখন সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে হিংসা ,হানা হানি ,লোভ যখন আমাদের চারপাশ ঘিরে ধরছে ,তখন এই বড়দিনে ,আবার নতুন করে যীশু ও শ্রীরামকৃষ্ণের কথা জানার এবং ভাববার সময় বোধহয় এসেছে। আর তাই এই আনন্দ উৎসবকে পাশে নিয়েই আপনাদের জানাবে শ্রী রামকৃষ্ণের ,যীশু বন্দনা বড়দিনের বাঙালিয়ানার বিশেষ পর্বে। এই বিষয়ে কথা বলেছেন স্বামী সুপর্ণানন্দ, ডঃ নন্দলাল ভট্টাচার্য ও শ্রী গোপেন্দ্র চৌধুরী।
সম্মানীয় পাঠকরা জানতে হলে অবশই দেখবেন বাঙালিয়ানা, আগামীকাল পঁচিশে ডিসেম্বর, রবিবার সকাল ১০ টায়,টিভি ৯ বাংলায়।
Be First to Comment