———————শুভ জন্মদিন———————-
নিউজ স্টারডম : ঢাকা, ১১, সেপ্টেম্বর, ২০২০। ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মেয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি। ছোটবেলা থেকে পরিবার ও সমাজের নানা প্রতিকূল পরিবেশের বিরুদ্ধে লড়েছেন এই মেয়েটি। এর পরবর্তী কালে সমাজের নানা রকম সমস্যা অতিক্রম করে স্বচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিতও হয়েছেন তিনি। যদিও গৌরীপুর গ্রামে সংস্কৃতি চর্চার কোনো পরিবেশ ছিল না। তবুও আত্মপ্রত্যয়ে বলীয়ান হয়ে এবং পরিশ্রম করে তিনি আজ জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। জ্যোতিকা জ্যোতি একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী। জ্যোতির বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করার পর তার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেবার কথা ছিল। মাস্টার্সে অধ্যয়নকালীন তিনি ময়মনসিংহের বহুরূপী থিয়েটারে যোগ দিয়েছিলেন। তবে এ নাট্যদলের হয়ে মঞ্চে ওঠার সুযোগ হয়নি তার। বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পরিবর্তে অভিনয়ের নেশা পেয়ে বসে তাকে। সারাহ বেগম কবরীর ‘আয়না’ ছবিতে সুযোগ পান তিনি। ২০০৫ সালে জ্যোতিকা জ্যোতি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়না’ মুক্তি পায়। এরপর তিনি বেলাল আহমেদের নন্দিত নরকে (২০০৬) এবং তানভীর মোকাম্মেলের রাবেয়া চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে জ্যোতি অভিনীত তানভীর মোকাম্মেলের জীবনঢুলী (২০১৪) ও আজাদ কালামের বেদেনী চলচ্চিত্র দুটি মুক্তি পায়। জ্যোতি অভিনীত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির নাম ছিল ‘ব্রেক আপ’। ২০১০ সালের শুরুর দিকে ব্রেক আপে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়া মোরশেদুল ইসলামের অনিল বাগচীর একদিন (২০১৫) চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন। কলকাতার ‘লক্ষী ও শ্রীকান্ত’ সহ ‘লাল মোরগের ঝুটি’ নামের ছবিতে সু অভিনয়ের স্বাক্ষর রাখেন।

জ্যোতিকা জ্যোতি একজন টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। এছাড়াও তিনি বেশকিছু অনুষ্ঠানে উপস্থাপনাও করেছেন। তিনি ২০০৪ সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় সেরা দশে স্থান করে নিয়েছিলেন।জ্যোতিকা জ্যোতি অভিনীত এক পর্বের নাটকের মধ্যে অনিমেষ আইচের একটি ঝড়াক্রান্ত শেফালী গাছ, শতাব্দি জাহিদের স্বপ্নবুনন, রনির জাগরণের রংটা ধূসর ছিলো, রাসেল আজমের মুক্তাহীন ঝিনুক, নজরুল কোরেশীর ভালোবাসার লাল পিঁপড়া, দিমা নেফার তিতির স্বপ্ন দেখার সাহস, ইশতিয়াক মাহমুদের মুক্তি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

২০১৩ কলেজ রোড ধারাবাহিক নাটকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী – কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডস লাভ করেন।
Be First to Comment