Press "Enter" to skip to content

ফ্রান্সিস বেকনকে অভিজ্ঞতাবাদের জনক বলা হয়। তিনি দার্শনিক চিন্তাধারায় মৌলিক কিছু তত্ত্ব প্রবর্তন করেন…..।

Spread the love

জন্মদিনে স্মরণঃ ফ্রা ন্সি স বে ক ন

বাবলু ভট্টাচার্য : ফ্রান্সিস বেকনকে অভিজ্ঞতাবাদের জনক বলা হয়। তিনি দার্শনিক চিন্তাধারায় মৌলিক কিছু তত্ত্ব প্রবর্তন করেন। এগুলোকে বেকনিয়ান মেথডও বলা হয়ে থাকে। তিনি পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের ওপর জোর দেন।

তিনি একাধারে একজন ইংরেজ দার্শনিক, আইনজ্ঞ, কুটনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার পথপ্রদর্শক। ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ এবং সম্রাট প্রথম জেমসের উপদেষ্টা আর বিতর্কিত অথচ অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব স্যার ফ্রান্সিস বেকন।

আইনের ক্ষেত্রে তিনি বড় ধরনের সংস্কারের চেষ্টা করেছেন। আইনজীবি হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করলেও তিনি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের প্রবক্তা এবং জ্ঞানান্ধতা ও গোঁড়ামি বিরোধী হিসেবে সুখ্যাত হন।

স্যার নিকোলাস বেকন ও অ্যানে বেকন দম্পতির সন্তান ফ্রান্সিস বেকন।

১৫৭৩ সালে তিনি কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হন। মূলত ল্যাটিন ও মধ্যযুগের পাঠক্রম অনুসরণ করেন। কেমব্রিজে পড়াকালে তার সঙ্গে রানী এলিজাবেথের সাক্ষাৎ ঘটে। রানী তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে লর্ড উপাধির যোগ্য বলে মন্তব্য করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আইন নিয়ে পড়েন।

১৫৮১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ইংল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেল ও লর্ড চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৬২১ সালে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। তিনি জরিমানা ও কারাদণ্ড ভোগ করেন। এর মাধ্যমে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটে। এরপর তিনি নিজেকে লেখালেখিতে ব্যস্ত রাখেন।

তিনি ১৬০৩ সালে ‘নাইটহুড’ লাভ করেন। এছাড়াও ১৬১৮ এবং ১৬২১ সালে ব্যারন ভিরলাম এবং ভিসকাউন্ট সেন্ট এলবান উপাধি পান।

তিনি বিজ্ঞান, দর্শন, শিক্ষা ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পঞ্চাশের অধিক বই লিখেছেন। তার বইয়ের মধ্যে- ‘এসেস’, ‘দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব লার্নিং ডিভাইন এন্ড হিউম্যান’, ‘নাভাম অর্গানাম সায়েন্টিয়ারম’ (নিউ মেথড) ও ‘নিউ আটলান্টিস’।

১৬২৬ সালের ৯ এপ্রিল তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।

স্যার ফ্রান্সিস বেকন ১৫৬১ সালের আজকের দিনে (২২ জানুয়ারি) লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন।

More from BooksMore posts in Books »
More from InternationalMore posts in International »
More from Writer/ LiteratureMore posts in Writer/ Literature »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *