Last updated on October 28, 2025
নিজস্ব প্রতিনিধি : পুরুলিয়া, ২৭ শে অক্টোবর ২০২৫।ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎকে আলো দেখানোর মহতী উদ্যোগে পা বাড়ালো ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। স্কুল অফ এক্সেলেন্সের পদক্ষেপকে সামনে রেখে তার সূচনা করে ফেললো রামকৃষ্ণ মিশনের অনুপ্রেরণায় পুরুলিয়ার বরনডাঙার ফিলিক্স স্কুল অফ এডুকেশনের সঙ্গে। স্বামী লোকেশ্বরানন্দজি ‘র অনুসারী নানৃতাম ২০০৮ সালে এই অঞ্চলে প্রথম স্থাপনা করে স্বামী লোকেশ্বরানন্দজি আই হাসপাতাল, যা আজ বাংলার অন্যতম বৃহৎ আই হাসপাতাল। ৮৫ শতাংশ মানুষের জন্য এখানে পরিষেবা সম্পূর্ন নিখরচায় দেওয়া হয়।
এই নানৃতাম সংস্থার হাত ধরে ২০১৪ তে গড়ে ওঠে ফিলিক্স স্কুল অফ এডুকেশন। যা স্বামী লোকেশ্বরানন্দজি আই হাসপাতালের ঠিক পাশেই অবস্থিত। ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৬০০ জন।
ফিলিক্স স্কুল অফ এডুকেশনের মতো বাংলা তথা ভারতের ফুটবলের ক্ষুদে প্রতিভাদের পূর্ণতা দেওয়াই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রধান লক্ষ্য। গত ২৫ অক্টোবর শনিবার জনজাতি অধ্যুষিত পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেই এর দৃপ্ত পদচারণা শুরু হয়ে গেলো পুরুলিয়ার ফেলিক্স স্কুল অফ এডুকেশন গ্রাউন্ডে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের সূচনায় ছিলেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মাননীয় সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ। ক্লাবের পক্ষ থেকে সাধারণ সচিব রূপক সাহা তাঁকে সম্মানীত করেন। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্পস্তবক, মহারাজের নাম লেখা লাল হলুদ জার্সি এবং সম্মানিত করা হয় উত্তরীয় পড়িয়ে দিয়ে। মহারাজ ইস্টবেঙ্গল স্কুল অফ এক্সেলেন্সের জার্সি এবং বল তুলে দেন আগামীতে এখানেই অনুশীলন করতে চলা শিক্ষার্থীদের হাতে।
ফেলিক্স স্কুল অফ এডুকেশনের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সচিব রূপক সাহা, প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক বিকাশ পাঁজি এবং ফাল্গুনী দত্তকে। ইস্টবেঙ্গল স্কুল অফ এক্সেলেন্স এবং ফেলিক্স স্কুল অফ এডুকেশনের যৌথভাবে প্রশিক্ষন নিতে চলা শিক্ষার্থীদের সাথে প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ডে পরিচিত হোন ক্লাব সচিব রূপক সাহা, প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক বিকাশ পাঁজি এবং ফাল্গুনী দত্ত।
সুস্থ সমাজ গড়া, স্বাস্থ্যের শ্রীবৃদ্ধি এবং চরিত্র গঠনের মাধ্যমে ক্ষুদে খেলোয়াড়দের প্রকৃত মানুষ করে তোলাই ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হয় স্বামী বিবেকানন্দের সেই উক্তিকে। “গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা ভাল”। এর মাধ্যমে তিনি মূলত যুবদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে শক্তিশালী করানোর জন্য খেলাধুলো, বিশেষ করে ফুটবলকে উৎসাহিত করতে চেয়েছিলেন।স্বামীজীর সেই পথ ধরেই জনজাতি জনপদের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেই এর সূচনা করলো সকলের প্রিয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
ক্লাবের সচিব রূপক সাহা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন আগামী এক মাসের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এমন কর্মসূচি ডানা মেলবে বাংলা তথা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলেও। তাই ওদের আলোর পথের সন্ধানকে আরো আলোকোজ্জ্বল করতে আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।












Be First to Comment