গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ৮, ফেব্রুয়ারি, ২০২১। এই দেশে বা রাজ্যে যে সকল মানুষের সাহায্য ছাড়া অগ্রগতি সম্ভভপর হয় না তারা হলেন ইঞ্জিনিয়ার বা বাস্তুকার। অনেকে বলেন যন্ত্রবিদ। আমাদের রাজ্যের পরিকাঠামো নির্মাণে যে সকল সরকারি ইঞ্জিনিয়ার এই করোনা অতিমারীর সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মকান্ড নিরলস ভাবে চালিয়ে গেছেন তাদের কথা মনে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

করোনা অতিমারী বিধি মেনে আমাদের রাজ্যের নানা জেলা থেকে একত্রিত হয়েছিলেন প্রায় ৬০০ সরকারি ইঞ্জিনিয়ার। তারা যোগ দিয়ে ছিলেন তাদেরই সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের পঞ্চম বার্ষিক জেলা সাধারণ সম্মেলনে। এই রাজ্যব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো গত ৬ ফেব্রুয়ারি মহাজাতি সদন প্রেক্ষাগৃহে।

প্রোগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত ঘোষ উপস্থিত গণ মাধ্যম কে জানালেন, কোভিড পরিস্থিতিতে অনলাইনে মিটিং করার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কোভিড-কে যদি আমরা পরাজিত করতে পারি এবং যদি অ্যাকটিভিটির মধ্যে থাকতে পারি সেক্ষেত্রে গত জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ২২ টি জেলায় আমরা সাধারণ মিটিং করেছিলাম।

সেখানকার অভিজ্ঞতা থেকে উৎসাহিত হয়ে আমাদের এই মিটিং-এর সিদ্ধান্ত। কোভিড পরিস্থিতিতেই এই দপ্তরে ২০০ জন নতুন ইঞ্জিনিয়ার যোগ দেয়। এটা আমাদের সংগঠনের একটা স্বার্থকথা। যদিও নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সরকার এখনও দিয়ে উঠতে পারেনি।

যেটা আমাদের সংগঠনের অন্যতম দাবি বলে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত ঘোষ। তবে নতুনদের জন্য সংগঠনের তরফ থেকে সরকারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং না হলেও উত্তরবঙ্গের মালদাতে এবং বর্ধমানের টাউন হলে আমাদের টেকনিক্যাল মিটিং হয়েছে। মহাজাতি সদনে ঐদিন সংগঠনের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.pua.in আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায়।


Be First to Comment