Press "Enter" to skip to content

প্রেস ক্লাব কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন, ভয় নেই বিধিনিষেধ মেনেই হবে রূপচর্চা, আবেদন সেলুন মালিকদের….।

Spread the love

*করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সেলুন ও বিউটি পার্লার শিল্প*

গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ১৩ জানুয়ারি ২০২২। সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র এই কথা আমরা সকলেই জানি এবং বিশ্বাস করি। প্রতিটি মানুষই সে নারী হোক বা পুরুষ হোক জন্মকালীন এক বিশেষ রূপের অধিকারী হয়। রূপ নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেই হয় না তাকে যথাযথ পরিচর্যা করতে হয়। একটা সময় ছিল যখন বাড়ির মা কাকিমা রা বাড়ির মেয়েদের স্বাস্থ্য ও রূপের পরিচর্যার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিতেন। দিনকালের বহু পরিবর্তন হয়েছে মানুষ আর্থিকভাবে যথেষ্ট স্বচ্ছল হয়েছে। আজকের দিনে নারীদের সাথে সাথে পুরুষ মানুষও নিজের রূপচর্চার জন্য বিউটিপার্লার ও সেলুন এর শরণাপন্ন হচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি বিউটিপার্লারই তাদের কাস্টমারদের বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে রূপসী ও রূপবান করেই ছাড়ার চেষ্টা করেন। করোনা অতিমারী কালে এই পেশা বা শিল্প চূড়ান্ত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবে এই পেশায় যুক্ত মানুষদের অভাব অভিযোগের কথা জানালেন উপস্থিত সাংবাদিকদের। পাঠকদের জানাচ্ছি তাদের বক্তব্য একবার মন দিয়ে পড়ে দেখবেন। করোনা কালে সেলুন ও বিউটি পার্লার শিল্প ব‍্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বর্তমানে বিধিনিষেধ মেনে সেলুন ও বিউটি পার্লার খুললেও গত দু বছরের আর্থিক ক্ষতি সামলাতে না পেরে বন্ধ হয়েছে বহু সেলুন ও বিউটি পার্লার। কর্মহীন হয়েছেন বহু কর্মী। এই অবস্থায় এই শিল্পের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ মানুষ ও সরকারের কাছে আবেদন জানালেন পার্লার ও সেলুনের মালিকরা। কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হলেন পার্লার ও সেলুনের কর্ণধাররা। ‘ওনার ফর এভার’ নামে এক ছাতার তলায় মিলিত হলেন তাঁরা।

বিধিনিষেধ মেনে পার্লার ও সেলুন খোলার অনুমতি দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগই মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। এই শিল্পের যুক্ত রয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলকেই অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধে নামতে হয়েছে। দুজন মানুষের মধ্যে দূরত্ব বিধি বা Close Proximity-র কথা বলে সবার শেষে পার্লার-সেলুন খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিধিনিষেধ মেনে পার্লার ও সেলুনে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। যদি এর পরেও মনে হয় করোনা সংক্রমণ হতে পারে, তখন প্রশ্ন, ঘনবসতি এই দেশে বাজার, হাট, অফিস, কোর্ট-কাছারি, বাস, ট্রেন, অটো, রাস্তাঘাট, খাবার দোকান, পানশালা, চায়ের দোকান, মুদির দোকান কোথায় দূরত্ব বিধি বা Close Proximity নেই? বারবার এই শিল্পের উপর আঙুল উঠছে কেন ? সব রকম সতর্কতা নিয়েও কেন করোনা সংক্রমণের বাহকের তকমা পাচ্ছে এই শিল্প? যে সমস্ত মানুষ সেলুন ও পার্লারে এসে সারাদিনের ক্লান্তির পর একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেন। তাঁরাই আজ পার্লারে আসতে ভয় পাচ্ছেন কেন? ভিড় বাসে করোনার ভয় নেই!! থিকথিকে লোকাল ট্রেনে করোনার ভয় নেই!! সবজি বাজারে মাক্সবিহীন বিক্রেতার কাছ থেকে সবজি কিনতে ভয় নেই!! ভয় শুধু ডাবল মাক্স পরা.. হাতে গ্লাভস পরা… পার্লার কর্মীদের। দেশের যে বড় অংশের করোনা সংক্রমণ হয়েছিল, কিংবা হয়েছে, তাদের মধ্যে কত শতাংশ পার্লারে গিয়েছিলেন? সেটাও কিন্তু গবেষণা যোগ্য।
বিউটি পার্লার, সেলুনের দিকে আঙুল না তুলে এই শিল্পকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় ‘ওনার ফর এভার’এর তরফে। তাঁদের আবেদন, করোনা… মানুষ আনাগোনা করে এমন যে কোনও জায়গায় হতে পারে। , বিশ্বাস আর ভরসা এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই শিল্পের চলার পথের রসদ হয়ে আশার আলো জ্বালাতে পারে।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.