শ্যামল কুমার চক্রবর্তী।
সোনু সুদ খুব একটা মিছিল মিটিং এ যাননি।
অক্ষয় কুমার বাজারের ব্যাগ নিয়ে ভীড়ে ঠাসা বাজারে বাজার করতে যাননি।
শচীন টেন্ডুলকার ভীড়ে ঠাসা ট্রেনে ওঠেননি।
আলিয়া ভট্ট মনে হয়না ভীড় বাসে চড়েছেন…
তাহলে এদের করোনা হল কি করে?
সবচেয়ে বড় কথা
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং খুব একটা মুখও খোলেননা তাহলে ওনার করোনা হল কিভাবে?
তাই আমার মনে হয়
করোনা কাদের, কিভাবে, কেন হচ্ছে বিজ্ঞান এখনও সঠিক তথ্য বের করতে পারেনি।
বিগত একমাস ধরে আমাদের রাজ্যে মিছিল, মিটিং এ যে হারে লোকসমাগম হয়েছে তাতে আমাদের রাজ্যে দিনে এক লাখেরও বেশি আক্রান্ত হওয়ার কথা।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে রাজ্যে ভোট নেই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা আমাদের থেকে পাঁচগুণেরও বেশি।
গত বছরের কথাই ধরুন
যে মাছ বাজার থেকে মাছ কিনতাম একজন মাছ ব্যবসায়ীর করোনা হয়নি।
করোনার সময় সবচেয়ে বেশী ভীড় হতো মাছ বাজারে।
কোন রকম প্রোটেকশন ছাড়াই ওনারা মাছ বিক্রি করতেন।
এমনকি শুনিনি কোন মদ ওয়ালার করোনা হয়েছে বলে।
মদের দোকানের ভীড় ছিল বেশীর দিকেই।
500 টাকার বোতল ওই সময়ে লোকে 1500 টাকা দিয়ে কেনার জন্যে মুখিয়ে থাকতো।
কোথাও পাওয়া যাচ্ছে শুনলেই সেখানে ভীড় বাড়ত।
শুনিনি কোন রিক্সাওয়ালা, ঠেলাওয়ালা, ট্রলিওয়ালা এরম খেটে খাওয়া মানুষদের কারও করোনা হয়েছে বলে।
যদি হয়েও থাকে, ধরে নিতে হবে আর পাঁচটা জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জার মত ভুগে সেরে উঠেছেন…
পরিষ্কার মনে আছে
গত বছর যখন রেল পরিষেবা চালু করল তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলতে লাগলেন আবার করোনার ঝড় বইবে…
কিন্তু দেখা গেল উল্টোটা।
বাস ট্রেন চালুর পর করোনা ধীরে ধীরে কমে গেল।
তাই আমার মনে হয় করোনার সঠিক তথ্য এখনও অজানা।
তাই করোনার খবর কম দেখুন, আতঙ্কে নয়, সাবধানে থাকুন।
মাস্ক পরুন।
স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না।
হাসিখুশি থাকুন।
মানসিক শারীরিক দুই দিক দিয়েই তরতাজা থাকুন।
কাল কি হবে কেউ জানিনা…
*আজকের দিনটি তাই উপভোগ করুন।
Be First to Comment