ডঃ পি সি সরকার (জুনিয়র) বিশ্বখ্যাত জাদুশিল্পী ও বিশিষ্ট লেখক। কলকাতা, ১৪, ডিসেম্বর, ২০২০। অনেকদিন হলো ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হয়না। বুড়ো, মানে, বয়স হয়েছে তো, চিন্তা হয়। খালি গায়ে থাকেন, নিউমেনিয়া না হয়!! ঐটুকু বাঘ ছালে লজ্জাও ঠিক মতো ঢাকা যায় না। বললে শোনেন না, ইশারায় মা কালীকে দেখান। কাকে কি বলবো। উনি নিজেই ল্যাংটো। বলেছি দেখে জিভ কাটেন। এই পুরো পরিবার টা আমায় খুব চিন্তায় রাখেন। ওরা কেমন আছেন কে জানে। মা দূর্গাও ভাসানের পর আর কোনও সংবাদ দেননি। অসুরের বুকের খোঁচার জখমটা কি শুকিয়েছে? মা-কে বলে ছিলাম, হয় এ-ফোড় ও-ফোড় করে মেরে ফ্যালো, নয়তো ছেড়ে কম্প্রোমাইজ করে নাও। হিউম্যান রাইটস ডে। খুব খতরনক্।
তাও সামনে আবার ইলেকশন আসছে। কারুর সমর্থন পাবে না। ক্লাবের ওরাও খ্যেপে আছে। ইনকাম হয়ই নি। তার ওপর আবার ট্র্যাক্স-ম্যাক্স…সাবধান। যাই হোক, অসুর-কুমারকে বলেছিলাম, “কেসটা কী, বলুন তো?” বললেন “একবার মরলে তো গেল খতম্! পরের বার উনি মারবেন কাকে? ভাল লাগে না। আর কতোবার কতো রকম ভাবে মরার পোজ নেওয়া যায় বলুন তো স্যর্। ঠিক অমিতাভ বচ্চনের মরার সিন-এর মতো। মরার দৃশ্য করতে করতে বোর হয়ে গেছেন।সবাই বলে নতুন কায়দায় মরতে। এর চেয়ে কোভিডে মরা ভালো। কেউ জানবে না বডির কি হলো, কিসে মরলো, জানাও নিষেধ, দ্যাখাও নিষেধ।

স্টেজের যবনিকার ওপাশে আমার ভগবানের আগমন হয়। “বহুরূপে সম্মুখে তোমার..!” পর্দাটা উঠলেই আমি তাঁদের স্বশরীরে দেখতে পাই। তাঁরাই আমার সব কিছু। আমার প্রাণাধিক ভালোবাসার দর্শকবৃন্দ। কোভিডের জ্বালায় কতোদিন তাঁদের দেখিনা। বাড়িতে বসে আছি। হাত বাড়িয়ে চাই তাঁদের জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু স—ব ফাঁকা সীট। অন লাইনে ম্যাজিক বাজে হয়। যারা করেন, ভুল করেন। ছুঁচো হাতি সব গুলিয়ে যায়।
সেজন্যই আমি এতো সব লিখি। অবান্তর। বেশি মেলা মেশা, বেশি বেশি লেখা। নানারকম টপিক। ঠিক করেছি এই স–ব মিলিয়ে একটা বই লিখবো। নাম দেবো ‘টপিকদানী’। পানোন্মত্ত (পান খেয়ে উন্মত্ত) দের কাছে পিকদানী, ফুলের জন্য ফুলদানি। আর নানা টপিকের আড্ডা থেকে ‘টপিকদানী’। আমরা সব্বাই এর মেম্বার। বিনা পয়সায়। একদম ফ্রী।

Be First to Comment