বিশেষ প্রতিনিধি : কলকাতা, ৩০ আগস্ট ২০২১। সমস্ত জাতীয়তাবাদী মনোভাবাপন্ন ইঞ্জিনিয়ারা আজকের দিনটিতে অর্থাৎ ৩০ শে আগস্ট ২০১৫ সালে প্রগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের আত্মাপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন কলিকাতার সুবর্ন বনিক সমাজ হলে যেখানে প্রায় ৪০০ জন বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত ঘোষ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এই সংঠনের প্রধান লক্ষ্যগুলি হলো-
১।সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারদের একই ছাতার তলায় নিয়ে আসা।
২।ইঞ্জিনিয়ারদের পে, প্রমোশন এবং প্রেস্টিজ বৃদ্ধি করা।
৩।প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করা।
৪। সরকারের প্রকল্পগুলিকে রুপায়নে যথাসম্ভব সাহায্য করা ও যথা সময়ে শেষ করা।
৫। বিভিন্ন দপ্তরের কাজের মানোন্নয়ন ঘটানো ও Sustainable development করে Effective Project cost কমানো।
৬। সরকারি কর্মচারী থেকে পাবলিক সার্ভেন্ট এর মানসিকতা প্রতিটি কর্মচারীর মধ্যে প্রথিত করা।
৭।ইঞ্জিনিয়ারদের সম্মানোচিত জায়গা সমাজে প্রতিষ্ঠা করা।
জন্মাষ্টমীর শুভ লগ্নে আজকের দিনটিকে সংগঠন প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে পালন করার পাশাপাশি সমাজ সেবা মূলক কাজে প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ার সদস্যকে উদ্বুদ্ধ করেছে, যেমন- রক্তদান শিবির (কলকাতা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও পুরুলিয়া)র দুঃস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের অর্থ ও বই দিয়ে সাহায্য করা, কোভিড-১৯ অতিমারী অবস্থায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করা এবং অনাথ ও দুঃস্থ শিশুদের বস্ত্র বিতরণ করা, ইয়াস ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকাতে ত্রিপল,খাদ্য দ্রব্য, ওষুধ ও বস্ত্র বিতরণ করা এবং বৃক্ষরোপণ সহ একাধিক সামাজিক কর্মসূচী আজকের দিনে পালিত হচ্ছে। কলকাতা এবং শহরতলীর প্রায় ১০০ জন ইঞ্জিনিয়ার রক্তের সংকটকালীন সময়ে সেন্ট্রাল পার্কে আজকের দিনে রক্ত দান করবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন এবং সফল হয়েছেন।
সংগঠনের দর্পন হিসাবে আজকের এই শুভদিনে প্রগতি বার্তা নামক একটি সুন্দর ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে যা ইঞ্জিনিয়ার্স সহ প্রতিটি মানুষের চেতনার উন্মেষ ঘটবে বলে আমরা মনে করি।
আগামীদিনে আমাদের কর্মসূচী্র মধ্যে আছে ১৫ই সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ডে পালন করা ও ইঞ্জিনিয়ারদের মান উন্নয়নে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করা।
বিগত দিনে আমরা যে সকল প্রযুক্তিবিদরা বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরে নতুন যুক্ত হয়েছেন তাদের জন্য সংগঠনের তরফ থেকে ট্রেনিং প্রোগ্রাম আয়োজন করেছিলাম- একটি নর্থ বেঙ্গল এর মালদা জেলায় এবং আরেকটি দক্ষিণবঙ্গের বর্ধমান জেলায়। এ বছরেও ধারাবাহিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারদের মানোন্নয়ন ঘটানোর জন্য ট্রেনিং প্রোগ্রাম রেখেছি।
আমাদের সংগঠনের ইঞ্জিনিয়াদের মুখ্য দাবী গুলি হলোঃ
১।প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরে e-MB চালু করা।
২। Junior Engineer দের Service sub-ordinate Service of Engineers এর পরিবর্তে Junior Service of Engineers করতে হবে।
৩। প্রতিটি ব্লকে ইঞ্জিনিয়ারিং কার্য্য নিয়ম মাফিক ও গুণগত মান বজায় রেখে সঠিক ভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ব্লক ভিত্তিক একজন করে Assistant Engineer-কেই নিযুক্ত করতে হবে।
৪। চাকরিতে যোগদানের পর Professional Examination বসার সময়সীমা কমাতে হবে।
৫।সকল দপ্তরে অবিলম্বে Junior Engineer দের ১০ বছরের মধ্যে Assistant Engineer এর স্কেলে বেতন দিতে হবে।এবং ২০ বছরের মধ্যে Executive Engineer এর স্কেলে বেতন দিতে হবে।
৬।৩।বাস্তব সম্মত ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ তথা সময়ের মধ্যে গুণগত মান বজায় রেখে কার্য সম্পাদনের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং service এর সর্বোচ্চ পদে IAS এর পরিবর্তে একজন অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারকেই নিয়োগ করতে হবে।
আমাদের দৃঢ বিশ্বাস আছে বর্তমান সরকার আমাদের দাবীগুলিকে সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবেন এবং ইঞ্জিয়ারদের মানোন্নয়ন ঘটাবেন।
Be First to Comment