শম্পা দেবনাথ : ভাগলপুর, বিহার।
এক পা… দু পা করে
এগিয়ে চলেছি আলোকমালার পথ ধরে।
চলেই চলেছি…. চলেই চলেছি!
টলোমলো পায়ে যেদিন
কৃষ্ণনগরের ছোট্ট পুলুর যাত্রা শুরু হয়েছিল …
কে চিনতো বলোতো?
নিজেকে নিজে চেনাটাই যথেষ্ট …নাকি!
চলতে চলতে স্কুল, সেখান থেকে কলেজ…
আজও ইচ্ছে হয় সিটি কলেজের…
সেই দামাল দিনগুলোতে ফিরে যেতে !
সেই যৌবন, সেই বামপন্থায় বিশ্বাস ..
আচ্ছা, যা গেছে সে কি হারায়…
নাকি রয়ে যায় গভীরতায়!
এক নক্ষত্রমণ্ডলী থেকে অন্য নক্ষত্রমণ্ডলী
কতো শতো আলোকবর্ষ ধরে
যেন অবিরাম চলমান …আমি!
নাম ধাম সব ভুলেই গিয়েছিলাম..
মানিকবাবুর ‘ অপু ‘ হতে গিয়ে!
মানিকবাবু বলতেন,
আমাকে নাকি অবিকল
যৌবনকালের রবিঠাকুর লাগে, দেখতে।
জানিনে বাপু…তার চোখ ,তিনি জানবেন!
“অর্থ কীর্তি বা স্বচছলতা নয়। ভিতর থেকে সার্থকতার বোধ না এলে অভিনেতা ফুরিয়ে যান ।”
আমারই লেখা.. মনে আছে তোমাদের?
একটা ভালো চরিত্রের জন্য
চিরকাল আমি লালায়িত থেকেছি…
কি করলে একটু ভালো অভিনয় করা যায় …
আরো একটু, আরো একটু…!
অপুর সংসার, গুপি গাইন বাঘা বাইন,ফেলুদা,ব্যোমকেশ, শাখা প্রশাখা, কোনি, আতঙ্ক,অসুখ,সাঁঝবাতির রূপকথারা, বেলাশেষে,পোস্তো…
——–এসব সে খোঁজেরই নমুনা, ভাই !
তাইতো বলছি.. চলছি আর চলছি!
কখোনো বাচিক শিল্পী হয়ে, কখোনো লেখক হয়ে,
কখোনো বা অভিনেতা হয়ে!
কতো রং আমায় রাঙিয়ে দিয়ে গেল…
নিজস্ব রং বলে আসলে কিছু হয় না,
ভেতরটাকে সাদা রাখতে হবে ভায়া..
যাতে বাকি সকলকে নিজের রাজ্যে
আমন্ত্রণ জানাতে পারো..!
কতো সম্মান, কতো শ্রদ্ধ, কতো পুরষ্কার !
কিছু অপ্রাপ্তি, কিছু অযাচিত ….
কিছু বা যোগ্যের প্রাপ্তি!
পদ্মভূষণ , দাদা সাহেব ফালকে,
লিজিয়ঁ অফ অনার…
দেশ – বিদেশ কেউ ই তো বাদ রাখলো না!
মনে হয়.. এ সবই চলার পথের কিছু আশ্রয়স্থল, কিছু মাইলষ্টোন ,কোনোটা আলোকবর্তিকা,
কোনোটা আবার অন্ধকূপ !
তাই আজ ও চলেছি..
কিছুতেই চলা থামেনি কখোনো।
আজকের এপথ, এ পৃথিবী হয়তো নতুন..
জীবন থেকে জীবনান্তরে নিয়ে চলে যে রাস্তা
তার হাতছানিকে উপেক্ষা করবো না!
যখন তোমরা…
দীপাশিখা প্রজ্বলিত করবে তুলসীতলাতে,
হয়তো তখন সেই আলোকশিখার হাত ধরে নতুন নক্ষত্রলোকে পদার্পণ করবো আমি!
এ ও এক নতুন লড়াই ….
……..”ফাইট কোনি ফাইট!”
Be First to Comment