Press "Enter" to skip to content

পুর্ব ছাড়িয়ে পশ্চিম মেদনীপুরের মাটিতেও সাফল্য ইন্দ্রানী ধানবীজের….।

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভান্ডারহিয়া, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪। পূর্ব মেদিনীপুরের পর, এবার উচ্চ ফলনশীল ধানচাষে সাফল্য মিলল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। বীজ গবেষণা এবং উৎপাদন প্রতিষ্ঠান নুজিভীডু সিডস জানিয়েছে, তাদের তৈরি ‘ইন্দ্রাণী এন পি সত্তর একষট্টি’ নামে উচ্চফলনশীল ধান বীজ এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ধান চাষের জন্য এই বীজ ব্যবহৃত হলে উৎপাদনে ঘাটতি মিটবে এবং আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ তার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুর ২, ভান্ডারডিহা গ্রামে এই ধানবীজের উৎপাদনের সাফল্য নিয়ে এক সঙ্গিতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিখ্যাত লোক সঙ্গীত শিল্পী, অভিজিৎ আচার্য, ধান বীজ ইন্দ্রাণীর ফলন দেখে অভিভূত হন এবং ইন্দ্রাণী নিয়ে নতুন গান গেয়ে শোনান। গানের মাধ্যমে সেখানে জমায়েত চাষীদের এই বীজ দিয়ে চাষ করতে উৎসাহিত করে তোলেন।
নতুন এই ধানবীজ বিভিন্ন ধরনের মাটি ও জলবায়ু অনুযায়ী, কৃষকদের সরবরাহ করা হয় । বন্যায় বেশ কয়েকদিন ক্ষেত ডুবে থাকলেও এই গাছের তেমন ক্ষতি হয় না। এই ধরনের ধানগাছের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি বলে পোকামাকড়ের আক্রমণে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও কম। তাই উচ্চ ফলনের সম্ভাবনাও বেশি। শিসের দৈর্ঘ্য বেশ বড়ো হওয়ায় ধান কাটতেও খুব সুবিধা হয়। তাছাড়া দানাগুলিও বেশ পুরুষ্টু। আশ্চর্যের বিষয়, কাটা পর্যন্ত গাছ পড়ে যায় না। সব গুলি সমান মাপের লম্বা শীষ। একসঙ্গে সব ধান পাকে তাই কাটা সহজ এবং ফসল পাওয়া যায় বেশি। এতটাই সহনশীল বলে হার না মানা ধান বীজের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দৃঢ় বিশ্বাস, ‘ইন্দ্রাণী এন পি সত্তর একষট্টি’ ধান চাষ করলে কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে; পাশাপাশি দেশের ধান উৎপাদনে সার্বিক বৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী ।

More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.