মোল্লা জসিমউদ্দিন : ২২, আগস্ট, ২০২০। গত মার্চ মাসে হুগলি চুচড়া পুরসভায় গ্রুপ ডি নিয়োগে সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষা হয়ে যেসব চাকরি ( মজদুর) হয়েছিল। তা গত ৬ জুলাই পুরমন্ত্রকের নির্দেশে খারিজ হয়। হুগলি – চুচড়া পুরসভায় ৭৬ জন মজদুর (গ্রুপ ডি) দের এইরুপ নির্দেশিকায় চাকরি খারিজ হয়। চাকরিতে বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে এহেন চাকরি খারিজের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আশীষ চক্রবর্তীর বেঞ্চে বিচারপ্রার্থী নারায়ণ অধিকারীর রাজ্যের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন মামলার ভার্চুয়াল শুনানি চলে। মামলাকারীর আইনজীবী একরামুল বারি সাহেব জানান – ” চাকরির নিয়োগে সমস্ত পরীক্ষা সহ নিয়মাবলি মানা হয়েছে, অথচ চাকরি বরখাস্ত তে কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আত্মপক্ষ সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এহেন একতরফা চাকরি খারিজ কার্যত বেআইনী”। বিচারপতি আশীষ চক্রবর্তী এই মামলায় পুরমন্ত্রকের চাকরি খারিজের নির্দেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।সেইসাথে ওই চাকরিজীবিরা যাতে পুরসভায় চাকরি করেন সেও অন্তবর্তী নির্দেশ দেন। বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার আদেশনামা রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার কে দু সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দেয় এবং মামলাকারীও পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে তার অবস্থান লিখিত ভাবে হাইকোর্ট কে যেন জানায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে তিন সপ্তাহের পর। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত মার্চ মাসে হুগলি চুচড়া পুরসভায় নিয়োগের সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ৭৬ জনের গ্রুপ ডি পদে ( মজদুর) চাকরি হয়। চাকরির তিন – চার মাসের মধ্যেই অর্থাৎ ৬ জুলাই পুরসভার চেয়ারম্যান রাজ্য পুরমন্ত্রকের নির্দেশ দেখিয়ে এই চাকরি বেআইনী তকমা দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ওই ৭৬ জন মজদুরদের। বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে কোন আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য শোনা হয়নি। অর্থাৎ একতরফা ভাবে চাকরি খারিজের নির্দেশটি রুজু করা হয়। অথচ এইসব মজদুররা শারীরিক সক্ষমতা, লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ হয়েছিলেন। যা যে কোনো সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মাবলি গুলি প্রযোজ্য। রাজ্য পুর দপ্তরের এহেন নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বরখাস্ত চাকরিজীবিরা কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করেন। নারায়ণ অধিকারী নামে এক বিচারপ্রার্থীর হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়েন স্বনামধন্য সার্ভিস ম্যাটার বিষয়ক আইনজীবী একরামুল বারি সাহেব। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আশীষ চক্রবর্তীর বেঞ্চে এই মামলার ভার্চুয়াল শুনানি চলে। সেখানে বিচারপতি উভয়পক্ষের অনলাইন সওয়াল-জবাব শুনে রাজ্য সরকারের এহেন চাকরি খারিজের নির্দেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। মামলাকারীর বকেয়া বেতন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চাকরিতে পুন বহাল করার নির্দেশ দেন। আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেইসাথে মামলাকারীর অবস্থান পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত ভাবে দেওয়ার আদেশনামা রয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে তিন সপ্তাহের পর বলে জানা গেছে।
পুরসভার চাকরি খারিজের নির্দেশে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের……
More from GeneralMore posts in General »
- পরিবারে একত্রিত, বয়সে বিভক্ত: হেল্পএজ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন আন্তঃপ্রজন্মীয় বন্ধন কে জোরদার করার আহ্বান জানায়…।
- নতুন সংসার শুরু করার স্বপ্ন স্বামী স্ত্রীর চোখে, ভালোবাসার হাসি, প্লেনে চড়ার আনন্দ, বিদেশ যাত্রা সব কিছু কেমন যেন আকাশ এই মিলিয়ে গেল আর হঠাৎ করে হয়ে গেল সবাই আকাশের-তারা…।
- Lupin Receives Tentative Approval from U.S. FDA for Oxcarbazepine ER Tablets….
- ইংরেজি দৈনিক ইকো অফ ইন্ডিয়া গ্রুপের বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন…।
- Cycling is Faster than Perceived – Beats Cars in Congested Corridors….
- দুপুর বেলায় খাওয়া দাওয়ার পর্ব হল শেষ, বাংলাদেশে এই দিনটার গুরুত্ব অশেষ…।
Be First to Comment